সড়কে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স: জেলা প্রশাসক
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, সড়কে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি চলবে না। যত্রতত্র গাড়ি রেখে যাত্রী উঠানো যাবে না।
যে বা যারা সড়কে চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে আমরা কাউকে ছাড় দিবো না।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সার্কিট হাউসে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিক কল্যাণের জন্য আপনারা যে চাঁদা নেন, সেটি আপনারা আপনাদের অফিসেই নেন। যদি গাড়ি থামিয়ে কোনো চাঁদাবাজি করা হয় তা কোনো ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
ইতিমধ্যে র্যাব এ নিয়ে অভিযান শুরু করেছে। বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। আপনাদের যদি চাঁদাবাজির বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিবো। যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করা যাবে না। যদি এমন কেউ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা অ্যাকশেনে যাবো। চাদাঁবাজি যাতে কেউ করতে না পারে সেটি আমরা দেখবো। যত্রতত্র গাড়ি বন্ধ করা যাবে না।
জেলা প্রশাসক বলেন, চুয়েট ভিসি মহোদয়কে অনুরোধ করেছি, আমরা প্রায় সবগুলো দাবি মেনে নিয়েছি। বাকি দাবিগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট। সে দাবিগুলোর যাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়।
গাড়ি ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, হামলায় গাড়িগুলো কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটি বিআরটিএ দেখবে। এরপর আমরা সেটির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখবো। ক্ষতিপূরণের জন্য মাননীয় মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের সঙ্গে আমরা কথা বলব। যাতে আপনাদের তিন গাড়ির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে।
এ সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, সড়কের মধ্যে দাঁড়িয়ে যে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে সেটি আমরা বন্ধ করুন। না হয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। সড়কে যত্রযত্র গাড়ি থামানো যাবে না।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, দুইজন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার পর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। নিরাপত্তার বিষয়টি সেখানে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। গাড়িগুলো যাওয়া আসার সময় সামনে পেছনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ স্কোয়াড থাকবে।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী বলেন, কাপ্তাই সড়কে গাড়ি চললে চট্টগ্রামের সব সড়কে গাড়ি চলবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সরকারকে বিব্রত করতে চাই না। আমরা সবমসময় সরকারকে সহযোগিতা করেছি। আমরা গাড়ি চালাবো। আমাদের দাবিগুলো পুরণের আশ্বাসে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট স্থগিত করছি।