জাতীয়

`সড়কে মৃত্যু ঠেকাতে বিআরটিএর দুর্বলতা চিহ্নিত করে সংস্কার জরুরি’

দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে সরকারি উদ্যোগে বিআরটিএর অধীনে প্রাথমিক উৎস থেকে পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে বিআরটিএর চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা সংস্কার করা জরুরি বলেও মনে করে সংস্থাটি।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়িারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে সরকারি উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার সঠিক ডাটা ব্যাংক চাই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলা হয়।

এসময় ২০২৩ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় মাত্র ৭টি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৫৩ হাজার ২০৭ জন আহত রোগী ভর্তির তথ্য তুলে ধরা হয়, যেখানে বিআরটিএর তথ্য বলছে, মাত্র ৭ হাজার ৪৯৫ জন।

আলোচনা সভায় তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, সড়ক নিরাপত্তা জোট শ্রোতার সভাপতি, অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমাতে সড়কে সুশাসন প্রতিষ্টা করা জরুরী। সড়ক দুর্ঘটনা পুর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক তৈরীর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা তহবিলের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। একই সাথে মানুষের সচেতনতা, সাধারণ মানুষকে দুর্ঘটনা আক্রান্তদের উদ্বার তৎপরতা সমৃক্ত করা জরুরি।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো বিআরটিএ সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, বিআরটিএ প্রতিবেদনের সঙ্গে পুলিশের প্রতিবেদন ও যাত্রীকল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবেদনের অমিল রয়েছে। বিআরটিএর সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৩ সালে দেশে ৫ হাজার ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ২৪ জন নিহত এবং ৭ হাজার ৪৯৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশের প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৪৭৫ জন নিহত হয়েছেন।”

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৯০২ জন নিহত, ১০ হাজার ৩৭২ জন আহতের তথ্য রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *