চট্টগ্রামপটিয়া

সমঝোতা সভা শেষে পটিয়ার দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আজ শনিবার সন্ধ্যায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রার্থিতা নিয়ে সমঝোতা বৈঠক শেষে দুই প্রার্থী হাতাহাতিতে লিপ্ত হন বলে অভিযোগে জানা গেছে। নগরের ইস্পাহানি মোড়ের পিটস্টপ রেস্তোরাঁয় বিকেল ৪টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে হাতাহাতিতে লিপ্ত দুই প্রার্থী হলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক বদিউল আলম ও নগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল আলম। দুজনেই পটিয়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। একই পদে দলটির আরও তিন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও পটিয়া উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি সৈয়দ নুরুল আবছার।

আজকের সমঝোতা বৈঠকটি আহ্বান করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান। তিনি এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় প্রার্থী হারুনুর রশিদও উপস্থিত ছিলেন। তবে অপর দুই প্রার্থী ছিলেন না।

সভা সূত্র জানায়, বৈঠক শুরু হওয়ার পর একই দলের একাধিক প্রার্থী যাতে না থাকে, সেই চেষ্টা চালান সামশুজ্জামান। তিনি দলের প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দু–তিনজনকে বসে যাওয়ার অনুরোধ জানান। আগামীকাল রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীও একই দলের পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে দু-একজনকে প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তবে নির্দিষ্ট করে কাউকে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেননি।

জানতে চাইলে আ ক ম সামশুজ্জামান বলেন, ‘চারটা থেকে মাগরিবের সময় পর্যন্ত সভা চলে। কিন্তু এ সময় কোনো প্রার্থী তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে রাজি হননি। আমরা সবাইকে আচরণবিধি মেনে সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন করার অনুরোধ করে সভা শেষ করি। সভা শেষ হওয়ার পর বদিউল আলম ও দিদারুল আলমের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি ও পরে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এটা দুঃখজনক।’

বৈঠকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রায় আট নেতা উপস্থিত ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, বৈঠক শেষে বের হওয়ার সময় বদিউল আলম ও দিদার পরস্পরের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হন। একপর্যায়ে দিদার বদিউলকে শারীরিকভাবে নাজেহাল করেন। পরে বদিউলের এক অনুসারী এসে দিদারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। পরে অন্য নেতারা এসে দুজনকে নিবৃত্ত করেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দিদারুল আলম বলেন, ‘বদিউল আলমের সঙ্গে আমার তর্কাতর্কি হয়েছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তিনি সবার সঙ্গে এসব করেন। এর আগে হারুণ ভাইয়ের সঙ্গেও এমন আচরণ করেছেন। হাতাহাতি সেভাবে হয়নি।’

জানতে চাইলে বদিউল আলম বলেন, ‘সামান্য তর্কবিতর্ক হয়েছে। অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে আমি আর কোনো প্রশ্নের জবাব আপনাকে দেব না।’

২৯ মে পটিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *