অর্থনীতিজাতীয়

সমুদ্র অর্থনীতিতে বদলে যাবে বাংলাদেশ

বঙ্গোপসাগর অঞ্চল ঘিরে নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। সমুদ্র সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে দেশের অর্থনীতিই বদলে যাবে। এছাড়া মাতারবাড়ী বন্দর চালু হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, আঞ্চলিক দেশগুলোও এর সুবিধা পাবে।

এক লাখ বর্গ কিলোমিটার অধরা

বঙ্গোপসাগরের অর্থনৈতিক এলাকা এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার। তবে মাত্র ১৫ হাজার ৭০০ বর্গ কিলোমিটার থেকে মাছ আহরণ করতে পারে জেলেরা। সক্ষমতা না থাকায় এখনো ১ লাখ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা থেকে মাছ আহরণ সম্ভব হয়নি। আধুনিক ফিশিং ট্রলার ও দক্ষ জনবল না থাকায় গভীর সমুদ্র এলাকা থেকে মাছ ধরা সম্ভব হচ্ছে না।

মাতারবাড়ী বন্দর অর্থনীতির গেম চেঞ্জার

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী এলাকায় গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল ও টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২০২৬ সালে এই বন্দর চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এটাই হবে দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর। মাতারবাড়ী বন্দর চালু হলে এটা হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গেম চেঞ্জার। মাতারবাড়ী টার্মিনাল চালু হলে ১৬ মিটারের বেশি গভীরতা সম্পন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল করতে পারবে। এখানে ০.৬ থেকে ১.১ মিলিয়ন টিইইউস (বিশ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার) হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। এর ফলে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে চাপ কমবে।

মাতারবাড়ী বন্দরের সুবিধা নিতে পারবে প্রতিবেশী দেশ

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে এর সুবিধা নিতে পারবে প্রতিবেশী দেশগুলোও। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, চীন এই বন্দর ব্যবহারের সুযোগ নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশাপাশি এসব দেশও লাভবান হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এম খুরশেদ আলম উপস্থিত সাংবাদিকদের সমুদ্র সম্পদ ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে ব্রিফিংয়ে বলেন, আমাদের সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্র ঘিরে উদ্যোগ সঠিকভাবে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের অর্থনীতিই বদলে যাবে। একই সঙ্গে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চালু হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশও এ থেকে সুবিধা নিতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *