‘সম্পদশালী’ খোরশেদ, মাবুদের স্ত্রীর ‘মেলাধন’
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তিন প্রার্থীর চেয়ে সম্পদশালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম চৌধুরী। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরীর চেয়ে সম্পদের পরিমাণে পিছিয়ে থাকলেও ‘ধনপতি’ স্ত্রী পেয়েছেন প্রবাসী আবদুল মাবুদ সৈয়দ। এছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ব্যাংকে কোনো জমাজাতি না থাকলেও হাতে আছে ১৭ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭২ টাকা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আগামী ৫ জুন লোহাগাড়া উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মোট ভোটার ২ লাখ ২৩ হাজার ৬২৬। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৯ হাজার ১০৮ ও মহিলা ১ লাখ ৪ হাজার ৫১৮ জন।
হলফনামার তথ্যানুযায়ী, সবচেয়ে ‘বেশি’ সম্পদশালী চেয়ারম্যান প্রার্থী খোরশেদ আলম চৌধুরী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬০ লাখ মূল্যের কৃষি জমি। ২৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা তাঁর ব্যবসায়িক মূলধন। ৯ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা থাকলেও হাতে নগদে ১৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আছে তাঁর। ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের মোটর সাইকেলের মালিক তিনি। এছাড়া, অর্ধলাখ টাকা করে স্বর্ণালংকার ও ইলেকট্রিক সামগ্রীর পাশাপাশি ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে তাঁর।
অন্যদিকে সম্পদের পরিমাণে তাঁর চেয়ে ‘কম’ সম্পদশালী আব্দুল মাবুদ সৈয়দ। তবে সম্পদশালী তাঁর স্ত্রী। ৩৭ লাখ ১ হাজার ৫৫৪ টাকার সম্পদ মাবুদ সৈয়দের। আর মিসেস মাবুদ সৈয়দের ১ কোটি ২১ লাখ টাকার সম্পদ।
মাবুদ সৈয়দের সবচেয়ে বেশি নগদ টাকা আর ব্যাংকে জমাজাতি। ব্যাংকে জমা আছে ১৭ লাখ ৭৭৭ টাকা; ওই সমপরিমাণ টাকা হাতে নগদে আছে তাঁর। দেড় লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্রের পাশাপাশি তাঁর ঘরে ইলেকট্রিক সামগ্রী রয়েছে আরও দেড় লাখ টাকার। তবে জমিজমা আছে মাত্র ৫ হাজার টাকা মূল্যের। যা অর্জনকালীন সময়ের হিসাবে দেখানো হয়েছে হলফনামায়।
‘মিসেস’ মাবুদ সৈয়দের হাতে নগদে আছে ৬০ লাখ টাকা। সমপরিমাণ টাকা ব্যাংকেও জমা রয়েছে তাঁর। এছাড়া ১ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার রয়েছে ‘মিসেস’ আব্দুল মাবুদের ।
‘মিসেস’ আব্দুল মাবুদের এত টাকার সম্পদ থাকলেও বাকি দুই প্রার্থীদের স্ত্রীদের নেই ‘কানাকড়িও’।
এছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সম্পদের পরিমাণ ৪৭ লাখ ৪৪ হাজার ১৪৭ টাকার। ১৮ লাখ ১০ হাজার ৬৭৫ টাকা মূল্যের কৃষি জমি রয়েছে তাঁর। ব্যাংকে কোনো জমাজাতি না থাকলেও হাতে নগদে আছে ১৭ লাখ ৬৩ হাজার ৪৭২ টাকা, আর ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক মূলধন রয়েছে তাঁর। ৫ লাখ টাকা মূল্যের বাস-ট্রাক মোটর গাড়ির মালিক হলেও সোনাসাদি আছে মাত্র ২০ হাজার টাকা মূল্যের, আর ৫ হাজার টাকা মূল্যের রয়েছে আসবাবপত্র।
কার কত আয়
তিনজনেরই আয় ব্যবসা থেকে। সবচেয়ে বেশি কামাই আ’লীগ নেতা খোরশেদ আলম চৌধুরীর। প্রোল্টি ফার্ম করেই তাঁর বছরে আয় ২৪ লাখ টাকা। প্রবাসী আব্দুল মাবুদের আয় বছরে ১৮ লাখ টাকা। তাঁর আয়ের মাধ্যমও ব্যভসা। দ্বিতীয় ‘সম্পদশালী’ প্রার্থী রাজুল ইসলাম চৌধুরীর বছরে আয় মাত্র। ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এরমধ্যে তাঁর ব্যবসা থেকে আসে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর বাকি ১ লাখ টাকা কৃষিখাত ও মৎস্য খামার থেকে আসে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।