সরকারি হাসপাতালের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ
নোয়াখালীটে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ও নতুন ভবন দ্রুত নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ করেছে নাগরিক সমাজ।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী মাইজদী টাউন হল মোড়ে ওই কর্মসূচির আয়োজন করেন নাগরিক অধিকার, নোয়াখালী।
কর্মসূচিতে প্রথম আলো বন্ধুসভা, সেচ্ছাসেবী সংগঠন এইচএসবিও, সাইবার ওয়ারিয়ার্স, শিক্ষক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকরা অংশ গ্রহণ করে। এ সময় সংগঠনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কাউসার নিয়াজির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাংবাদিক জামাল হোসেন বিষাদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুল হক বকশী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুদ কাইয়ুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথ নান্টু, পৌর কল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ও কবি ম. ফানা উল্যাহ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম রাবান্নিসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, নামে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল হলেও এখানে লোকবল রয়েছে দেড়শ শয্যার। যারা কর্মরত রয়েছেন তারাও আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিচ্ছে না। রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছেন চিকিৎসক, নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ নেই, স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগীদেরকে ফ্লোরে থাকতে হচ্ছে, পুরো হাসপাতাল ময়লা-আবর্জনার বাগাড়ে পরিণত হয়েছে। জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার অন্যতম এ আশ্রয়স্থল এভাবে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার মধ্যে যাচ্ছে। অথচ জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য প্রশাসন দেখেও না দেখার মতো রয়েছে। আর সব দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
বক্তারা, এ সময় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের নির্মাণাধীন নতুন বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এসব অনিয়ম-অব্যবস্থা নিরসন না করলে এবং নতুন ভবন নির্মাণ শেষ না করলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
কর্মসূচি শেষে, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে স্মারকলিপি দেয়া হয়।