আইন-আদালতচট্টগ্রাম

সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে করা রিট তালিকা থেকে বাদ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে সম্পদের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রিটটি তালিকা থেকে বাদ দেন।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন রিগ্যান আবেদনকারী হয়ে ৮ মে রিটটি করেন। গতকাল রোববার রিটটি আদালতে দাখিল করা হলে আজ কার্যতালিকায় ওঠে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দুদক স্বাধীন সংস্থা, অভিযোগ অনুসন্ধানের এখতিয়ার দুদকের আছে। আদালত রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।

আইনজীবীর করা ওই রিটে ‘সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’ ও ‘ব্রিটেনে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদের ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সাম্রাজ্য’ শিরোনামে দুটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।

সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে সম্পদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশে সম্পদ থাকার কথা গোপন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তবে তিনি দাবি করেছেন, বিদেশে সম্পদ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা নেননি। সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তাঁর বাবা ১৯৬৭ সাল থেকে লন্ডনে ব্যবসা করেছেন। তিনি নিজে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে ১৯৯১ সাল থেকে সেখানে ব্যবসা করেছেন। এরপর তিনি লন্ডনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন। হলফনামায় বিদেশে সম্পদের তথ্য দেওয়ার আলাদা কোনো ছক নেই বলেও জানান তিনি।

সাইফুজ্জামান চৌধুরীর এ বক্তব্যকে অযৌক্তিক বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা বা অপর্যাপ্ত তথ্য প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। হলফনামায় একজন প্রার্থীর সব সম্পদের বিবরণ প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুক না কেন। এ ঘটনার তদন্ত দাবি করে টিআইবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *