সাগরে লঘুচাপ, আবারো ভারী-বৃষ্টি পাহাড়ধসের শঙ্কা
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশের উপর সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামীকাল থেকে ৭২ ঘণ্টা চট্টগ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসাথে পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও পাহাড় ধস বা ভূমি ধসেরও শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়ার এক সর্তকবার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা, ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসাথে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ‘লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। সেইসাথে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আগামীকাল (২৮ জুন) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী (৪৪-৪৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের উপরে) বর্ষন হতে পারে। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগিড়াছড়ি ও বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমি ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।’
এদিকে, আগামী ২৪ ঘণ্টার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রামের অধিকাংশ জায়গায় (বৃষ্টিপাতের আওতাভুক্ত এলাকা ৭৬-১০০ শতাংশ) অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেসাথে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ ও পূর্বাভাস কর্মকর্তা মেঘনাথ তঞ্চঙ্গ্যা সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রামের অধিকাংশ জায়গায় মাঝারী থেকে ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও পাহাড় ধসও হতে পারে।’
এর আগে গত ১৯ জুনেও ৭২ ঘণ্টার জন্য ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেসময়ও ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও পাহাড় ও ভূমিধসের আশঙ্কার কথা জানায় সংস্থাটি।