সাগর উত্তাল, জেটিতে ভেড়ানো যায়নি একটি জাহাজও
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি সচল করা যায়নি। বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে সকালের জোয়ারে সাগর থেকে আজ সোমবার একটি জাহাজও জেটিতে ভেড়ানো যায়নি। অর্থাৎ এখন শুধু বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম চলছে। জেটিতে কোনো জাহাজ না থাকায় পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ বন্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে গতকাল রোববার সকালের জোয়ারে বন্দরের জেটি থেকে ১৯টি জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাতে বন্দর জেটি ফাঁকা হয়ে যায়। বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো ও বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাসের মতো সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
রোববার রাতে রিমাল বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়ে। আজ বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দেওয়া ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেতও প্রত্যাহার করা হয়। এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এ ঘোষণার পর বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ৩টার জোয়ারে সাগর থেকে ১৯টি জাহাজ জেটিতে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে কর্ণফুলী নদী ও সাগরে প্রচণ্ড ঢেউ থাকায় বন্দরের পাইলটরা সাগরে নোঙর করে রাখা জাহাজে যাওয়ার সুযোগ পাননি। ঝুঁকি বিবেচনায় একটি জাহাজও জেটিতে আনা যায়নি।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর থেকে কোনো জাহাজ জেটিতে আনা যায়নি। তবে পচনশীল নয়, এমন পণ্য বন্দর চত্বর থেকে খালাস হচ্ছে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, বড় জাহাজ জেটিতে থাকলে ঢেউয়ের কারণে জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে সাগরে জাহাজগুলো ইঞ্জিন চালু রেখে ঢেউ বা ঝড়ের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে ভাসতে পারে। এ জন্য সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে বড় জাহাজগুলো সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।