চট্টগ্রামপার্বত্য চট্টগ্রাম

সাজেকে দেড় হাজার পর্যটক আটকা, পানি খাবারের সংকট

রাঙামাটির সাজেকে আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফ সমর্থিত অবরোধের কারণে শনিবার থেকে আটকা পড়ে আছে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। অবরোধের কারণে সাজেকে যেতে পারছে না জ্বালানি তেল যার কারণে পানি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ সংকট। রয়েছে খাবার সংকটও।

সাজেক কটেজ মালিকদের সূত্রে জানা গেছে, সাজেকে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক ও ১৭৮টি গাড়ি পর্যটকবাহী গাড়ি শনিবার থেকে আটকা পড়ে আছে। সাজেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে। জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও, অবরোধের কারণে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কটেজে জেনারেটর সুবিধাও বন্ধ হয়ে পড়ছে। আবার জ্বালানি তেল না থাকায় পানি সরবরাহও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সাজেকে পর্যটক ও ব্যবসায়ী মিলিয়ে প্রায় তিনহাজার পর্যটকের খাবার সেখানে মজুদ না থাকায়, খাবার, জ্বালানি তেল, জ্বালানি গ্যাস সংকটে বেশ কিছু রেষ্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে সাজেকে অবস্থান করা পর্যটকদের খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।

সাজেক অবকাশ কটেজের সত্ত্বাধিকারী বিজয় ঘোষ বলেন, সাজেকে অবরোধের কারণে আমাদের কটেজেই ৬৫ জনসহ সাজেকে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়ে আছে শনিবার থেকে। সেখানে বিদ্যুৎ নেই বৃহস্পতিবার থেকে। জেনারেটর দিয়ে পর্যটকদের সেবা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে জ্বালানি তেলের সংকটে সে সেবাও বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে গরমে শিশুরা কষ্ট পাচ্ছে। অনেক অসুস্থ রোগী আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

তিনি আরো বলেন, সেখানে খাবারে সংকট দেখা দিয়েছে। সাজেকে তেমন অগ্রিম খাবার মজুদ রাখা হয় না। খাবার নিয়ে যেতে হয় ৪০ কিলোমিটার দূরে বাঘাইহাট থেকে। কিন্তু অবরোধের কারণে তা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে সাজেকে মনটানা রেষ্টুরেন্ট গতকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। আমাদের কটেজের লোকজনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছি। একটি রেষ্টুরেন্টের সাথে কথা বলেছি তারা দুপুরে শুধু ডাল ভাত খাওয়াতে পারবে। সেখানে জ্বালানি তেল পাঠানো গেলে সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হবে বলে আশা করছি।

সাজেক নিরিবিলি কটেজের মালিক মো. ফয়সাল আহমেদ বলেন, সাজেকে প্রচুর পর্যটক আটকা আছে। সেখানে অবরোধের কারণে তেল নেয়া সম্ভব না হওয়ায় পানিসহ বেশ কিছু সংকট দেখা দিয়েছে। যদি পর্যটকদের আজকের মধ্যে ফেরানো না যায়, অবস্থা খুব খারাপ হবে।

ছাউনি কটেজের মালিক মো. ইমনারুল আলম বলেন, সাজেকে পর্যটক আটকা আছে। তাদের ফিরিয়ে আনা জরুরি। পর্যটকরা সেখানে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।

পর্যটক আল আমিন বলেন, এখানে খাবার সংকট, পানি সংকট আমরা খুব কষ্টে আছি। আমাদের যতদ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। আমরা সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বাসায় যেতে চাই।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের বিভিন্ন সংকটের বিষয়টি আমরা জেনেছি। বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলছি। আজ বিকেলের মধ্যে পর্যটকদের সাজেক থেকে ফেরানোর ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *