সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন কামালের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
বাঁশখালীর সাধনপুর বৈলগাঁও এলাকার বাসিন্দা মো. ইলিয়াছ (৪০) ও তার বাবা মোহাম্মদ ইদ্রিছের (৬৫) ওপর হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কে. এম সালাহ উদ্দিন কামালসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মো. ইলিয়াছের পিতা মোহাম্মদ ইদ্রিছ বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, গত ৮ মে রাস্তা উদ্বোধন করার জন্য সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রাম বাজারে যান বাঁশখালীর বর্তমান সাংসদ মুজিবুর রহমান সিআইপি। এসময় সাংসদের নির্দেশে সেখানে হাজির হন সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে. এম. সালাহউদ্দিন কামাল ও স্থানীয় ইউপি সদস্যরা। এসময় সাংসদের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমান উল্লাহ অতর্কিতভাবে দলবল নিয়ে চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন কামালের ওপর আক্রমণ করেন।
এদিকে চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন কামালের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইউপি চেয়ারম্যান সমিতি বাঁশখালী উপজেলা শাখা। বাঁশখালীর সব ইউপি চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে নিন্দা জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন।
এ বিষয়ে বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের কফিল উদ্দিন বলেন, ‘একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে অতর্কিতভাবে দলবল নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা করে সামাজিক সম্মান বিনষ্ট করা পরবর্তী কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে, বাদী সৃষ্টি করে পরিকল্পিতভাবে মামলা দায়ের করা খুবই নিন্দনীয়। আমরা এ ঘটনায় উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে. এম. সালাহউদ্দিন কামালের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
অপরদিকে চেয়ারম্যান কে. এম. সালাহউদ্দিন কামালের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যরা।
সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘একজন সম্মানিত জনপ্রতিনিধিকে প্রকাশ্যে অতর্কিতভাবে দলবল নিয়ে আক্রমণ করার পর উল্টো তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ায় আমরা অপমান ও অসম্মান বোধ করছি।’