সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের সম্পদ জব্দের আদেশ দেন।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সব স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করার জন্য আদালতে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম। আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেয়া হয়। এ সময় দুদকের পক্ষে আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, তিনি ও তার স্ত্রীর শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে আলোচনা ওঠে। এর বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিটের পরপরই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশের সাবেক এ শীর্ষ কর্মকর্তার সম্পদের বিষয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।
এসব খবরের প্রেক্ষিতে সোমবার বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান।
এই রিটের ওপর শুনানি হবে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে। রিটে দুদক চেয়ারম্যান ও সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।
তবে এই রিট দায়েরের কিছুক্ষণের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। তিন সদস্যের একটি কমিটি অনুসন্ধান শুরু করেছে।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদক চেয়ারম্যান চিঠিও দেন সংসদ সদস্য ও আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আর অনুসন্ধান শুরু না করলে আদালতে যাওয়ারও হুমকি দেন তিনি।
তবে গণমাধ্যমে বেনজীরের সম্পদ নিয়ে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে সেগুলোকে ‘অসত্য’ বলে দাবি করেছে র্যাবের সাবেক এই মহাপরিচালক।
২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ৩৭তম পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন বেনজীর আহমেদ। এর আগে তিনি র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।