চট্টগ্রাম

সাবেক এমপি মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে জবর দখলের অভিযোগ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাবেক সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে উপজেলার ৭নং সরল ইউনিয়নের জালিয়াঘাটায় অন্যের জায়গা জবর দখল করে নিজ নামে স্কুল প্রতিষ্টা করা, পুকুর ভরাট করে মসজিদ নির্মাণ, জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে সংবাদ সম্মলেন করেছেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীদের দাবী—‘আমাদের জায়গায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্কুল হলে আমরা জায়গা ছেড়ে দেবো।’
 
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলেন বিস্তারিত তুলে ধরেন ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনের তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাঁশখালীতে পরাজিত মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর জোর-জবরদস্তি করে তার নিজের নামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। জায়গায় দখল করে মার্কেট এবং পুকুর ভরাট করে মসজিদ নির্মাণ করেছেন। আমরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের কারাগারা পাঠিয়েছেন।
আমিনুল ইসলাম চৌধুরী আরও জানান—ওই স্কুলের বিএস খতিয়ান নং ৪৬৬। এ খতিয়ানের বিএস ১৪৫৪ নং দাগের মোট জায়গার পরিমান ৮৮ শতক এবং মোট ২৪ জন মালিক। এর মধ্যে সাবেক এমপি মোস্তাফিজ তাঁর দাদীর ওয়ারিসূত্রে ৪ দশমিক ৪ শতক এবং অন্য দুই ওয়ারিশ থেকে ৩৩ দশমিক ৭ শতক জায়গার মালিক হোন। সর্বসাকুল্যে ওই খতিয়ানের ওই দাগের তিনি ৩৮ শতক জায়গার মালিক হতে পেরেছেন।

অথচ খতিয়ানের অবশিষ্ট ২১ জন ওয়ারিশের ৫০ শতক জায়গা জবর দখল করে রেখেছেন। স্কুল নির্মাণের নামে জবর দখল করার সময় বাধা দিলে তাকে এবং তার ভাইদের মারধর করেন।
অন্য খতিয়ানে তাদের মালিকানাধীন উকিল আজিজ মিয়া বাজার সংলগ্ন ৬৬৮বিএস খতিয়ানের ২ একর ৬ শতক জায়গা মিনি স্টেডিয়াম করার নাম দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন। যে জমির এক শতাংশও মালিকানায় নেই সাবেক আলোচিত সমালোচিত এই সাংসদ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা, এসিল্যান্ড অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এসব জানার পর মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের জেল খাটিয়েছে সাবেক সাংসদ মোস্তাফিজুর চৌধুরী। আমাদের পূর্বপুরুষ যথেষ্ট সম্পত্তি রেখে গেছেন। আমরা চাই আমাদের সম্পতিতে কোনো ব্যক্তি নয়, জাতির পিতার নামে স্থাপনা হোক। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের নামে মিনি স্টেডিয়াম হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *