চট্টগ্রামপটিয়ারাজনীতি

সামশুর ছেলে অস্ত্র নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, অভিযোগ নৌকার প্রার্থীর

চট্টগ্রাম: পটিয়ায় সামশুল হকের ছেলে লাইসেন্স করা অস্ত্র নিয়ে কথায় কথায় গুলি ছুঁড়ে আতংক সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম-১২ আসনে নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। এসময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বলেন, হুইপ পূর্ণ সুবিধা, প্রটোকল নিয়ে এলাকায় প্রতিনিয়ত ভীতি সৃষ্টি করছেন। তার পুত্র লাইসেন্স করা অস্ত্র নিয়ে কথায় কথায় গুলি ছুঁড়ে আতংক সৃষ্টি করছে।

এছাড়াও তিনি এবং তার পুত্র প্রতিদিন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকায় নির্বাচনী মহড়া দিয়ে ভোটারদের মধ্যে আতংক ছড়াচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসন এসব দেখেও যেন দেখছেন না। উল্টো নৌকার কর্মী-সমর্থকদের হয়রানি করছে পুলিশ। এসময় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর প্রটোকল সুবিধা স্থগিত এবং তার পুত্রের অস্ত্র থানায় জমা নিতে নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে বর্তমান স্বতন্ত্র প্রার্থী এমপি থাকলেও দলের জন্য কিছুই করেননি। সরকারি প্রকল্পের নয়ছয় এবং নানা অবৈধ পন্থায় নিজের অবৈধ আয়ের পথ প্রসারিত করেছেন। বিশেষ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই প্রকল্পের কয়েক হাজার কোটি টাকার খাল খনন, বেড়িবাঁধ নির্মাণ, পটিয়া বাইপাস সড়ক, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের পটিয়া অংশের সম্প্রসারণ, চট্টগ্রাম ওয়াসার ওয়াটার রিজার্ভার, কৈয়গ্রাম-উজিরপুর বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রকল্পের নামে পটিয়ার হাজার হাজার মানুষকে পথে বসিয়েছেন। রাতারাতি মানুষের বসতভিটা এবং চাষের জমি দখলে নিয়ে কোনো ক্ষতিপূরণ দেননি। মানুষের জমির মাটি কেটে বিক্রির টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছেন। এসবের ক্ষতিপূরণ চাইতে গিয়ে তার লাঠিয়াল বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। কোলাগাঁও ও চরকানাই শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতেন তার ছোট ভাই নবাব এবং ভাগিনারা। হুইপের ভাইয়েরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জায়গা-জমি দখল-বেদখলে একটি ভূমিদস্যু চক্র গড়ে তোলেন। তাদের চক্রে পড়ে অনেক সংখ্যালঘু পরিবার আজ নিঃস্ব। তার পরিবারের সদস্যরা পটিয়াকে মাদকের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে। মাদকের একটি সিন্ডিকেটও এই পরিবারের নিয়ন্ত্রণে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বিজিএমইএ’র সাবেক সহ-সভাপতি মো. নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেমন আরা তৈয়ব, আইয়ুব আলী প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *