সামাজিক মাধ্যমে সরব ‘আগামী সাতদিন পেঁয়াজ বর্জন করুন’
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর থেকে অস্থির পেঁয়াজের বাজার। দাম উঠেছে দুইশ টাকার উপরে। এ নিয়ে সরব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সরব ‘আগামী সাতদিন পেঁয়াজ বর্জন করুন।
একইসাথে পেঁয়াজের পরিবর্তে পেঁয়াজ পাতা ও ফুলকা ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি রান্নার কলাকৌশল ফেইসবুকে শেখানোর ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে। টক অব দ্য কান্ট্রি হয়ে ওঠা পেঁয়াজের দর নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ।
দেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির। দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম একশ টাকার বেশি বেড়ে গেছে। পেঁয়াজ নিয়ে রাতারাতি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে ধরতে ইতোমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের চেষ্টার পরও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উল্টো বাজার থেকে পেঁয়াজ হাওয়া হয়ে গেছে।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি আহ্বান জানানো হচ্ছে পেঁয়াজ বর্জনের। তরকারিতে এক সপ্তাহ পেঁয়াজ ব্যবহার না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই। আবার পেঁয়াজ ছাড়া কী করে তরকারি রান্না করতে হয় তা নিয়ে ভিডিও আপলোড করা হয়েছে।
এদিকে বাড়তি দরের জন্য খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি কমে গেছে। গতকাল সরেজমিনে একাধিক মার্কেটে দেখা গেছে, পেঁয়াজ বিক্রি নেই বললেই চলে। আগে যারা দুই থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত পেঁয়াজ একসাথে কিনতেন এখন তারা ২৫০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম করে কিনছেন। দুই–চার দিনের মধ্যে দাম কমে যাবে–এমন বিশ্বাস থেকে ভোক্তারা পেঁয়াজ কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। আবার অনেকে পেঁয়াজের ব্যবহার কমিয়ে ফেলেছেন।
পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ পাতা ও ফুলকার কদর বাড়ছে। পাইকারি বাজারে গতকাল ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজের পাতা ও ফুলকা বিক্রি হয়েছে। তবে খুচরা বাজারে ৫০/৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উত্তরাঞ্চল থেকে প্রচুর পেঁয়াজ পাতা ও ফুলকা চট্টগ্রামের বাজারে আসছে বলে রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। তারা বলেন, পথ খরচ বেশি হওয়ায় এর চেয়ে কমে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে পেঁয়াজের পাতাসহ ফুলকা বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে।