চট্টগ্রাম

সার্জেন্টের সিগন্যাল : মোটরসাইকেল রেখে চোরের ভোঁ-দৌড়

চট্টগ্রামের খুলশীর রেলক্রসিং এলাকা। বছরখানেক আগে এক মোটরসাইকেল চালককে সিগন্যাল দেন দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। সার্জেন্টের সিগন্যাল পেয়ে মোটরসাইকেল ফেলেই পালিয়ে যান চালক। এরপর মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে ডাম্পিংয়ে নেয় পুলিশ।

পুলিশের ধারণা ছিল, সার্জেন্টের ভয়ে মোটরসাইকেল রেখেই চলে গিয়েছিল কেউ। গাড়ির নম্বর বের করে বিআরটিএ থেকে মালিকের তথ্য নিয়ে পুলিশ যখন জানতে পারে— গাড়িটি কোন চোরের হাতে ছিল, তখন পুলিশের চক্ষুচড়কগাছ! কেননা, গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করতে গিয়ে চোরাই গাড়ি হাতে আসবে পুলিশ ভাবতেও পারেনি।

বছরখানেক আগে ঢাকার এক এনজিওকর্মীর অফিস থেকে চুরি যায় মোটরসাইকেলটি। দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতায় মোটরসাইকেলটি ফিরে পেয়েছেন ওই এনজিওকর্মী।

এক বছরের বেশি সময় পরও মোটরসাইকেল খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি ‘আনন্দের’ বলে জানিয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর অফিসের গ্যারেজ থেকে আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে পরে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। তবে আশা ছিল না মোটরসাইকেলটি ফিরে পাব। কেননা, চুরি যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া মোটরসাইকেল খুঁজে পাওয়া খুব কষ্ট। তবে আমি খুঁজে পাওয়ায় এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের। কারণ এত সময়ের পরও গাড়িটি ফিরে পেয়েছি।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের এক সার্জেন্ট দায়িত্বরত অবস্থায় একটি মোটরসাইকেলকে সিগন্যাল দেয়। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা অজ্ঞাত ব্যক্তি পুলিশ দেখে ঘটনাস্থলেই গাড়িটি রেখে পালিয়ে যায়। তবে আমরা তখনও জানতাম না গাড়িটির মালিক কে এবং গাড়িটি কেন ফেলে গেছে। বিআরটিএ চট্টগ্রামের মাধ্যমে ওই গাড়ির ইঞ্জিন নাম্বার ও মালিকানা যাচাই করে প্রাপ্ত ঠিকানায় পরপর তিনটি নোটিশ পাঠানো হয়। সবশেষ নোটিশের প্রেক্ষিতে প্রকৃত মালিক ট্রাফিক উত্তর বিভাগের অফিসে এসে গাড়িটির মালিকানা দাবি করে। এতে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হয়।’

এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, দায়িত্বরত সার্জেন্টরা নিয়মিত গাড়ির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন। যাচাই-বাছাইয়ে কখনো কখনো চোরাই মোটরসাইকেল ধরা পড়ে। তবে চোরের হাতে কখনো পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ চোরাই মোটরসাইকেল ক্রেতাদের হাতেই ধরা পড়ে। এবারই প্রথম এ ধরনের ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *