সিডিএ’র তিন পদে রদবদল
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিনটি পদে রদবদল করেছে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘসময় ধরে ‘বঞ্চিত’ থাকা সিডিএ’র কর্মকর্তাদের নতুন করে শীর্ষ পদগুলোতে পদায়ন করেছে কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার সিডিএ’র তিন কর্মকর্তাকে নতুন করে তিনটি পদে পদায়ন করা হয়।
কাজের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, গতিশীলতা আনয়ন, জনসেবা নিশ্চিতকরণ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এ পদায়ন করা হয়েছে বলে জানায় সিডিএ। দীর্ঘসময় ধরে এই তিন কর্মকর্তা সিডিএতে পদবঞ্চিত ছিলেন বলে জানা যায়। গত ১৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সিডিএ’র সচিব রবীন্দ্র চাকমা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ পদায়ন করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রকৌশল ও পরিকল্পনা বিভাগের কাজের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, গতিশীলতা আনয়ন, জনসেবা নিশ্চিতকরণ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সিডিএ’র নিম্নে বর্ণিত কর্মকর্তাগণকে স্ব-বেতনে তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদে চলতি দায়িত্ব প্রদানপূর্বক নিয়োগ/পদায়ন করা হলো। কাজী হাসান বিন শামস, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ (ভারপ্রাপ্ত), তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী-১ ও প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড। তিনি শুধুমাত্র সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলীর (চলতি দায়িত্ব) দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাং মঞ্জুর হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। একইসাথে তিনি নির্মাণ বিভাগ-২, ৩ এবং ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানিং বিভাগের কাজের তদারকিও করবেন। নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলামকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন। একইসাথে তিনি প্রকল্প বিভাগ ও এরিয়া প্ল্যানিং বিভাগের কাজের তদারকিও করবেন।
অন্যদিকে, নির্বাহী প্রকৌশলী এজিএম সেলিমকে প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। জানা যায়, প্রকৌশলী এজিএম সেলিমকে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে পদবঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। একইভাবে প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলামকেও গত ছয় বছর ধরে কোন পদে রাখা হয়নি।
প্রকৌশলী এজিএম সেলিম বলেন, সবধরনের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমাকে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে পদ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। আমি ১৯৯৮ সালে সিডিএতে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দিই। আমার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞাতার ফলে ২০০৮ সালে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদে পদোন্নতি পাই। বিভিন্ন অনিয়ম ও বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় সিডিএ’র কিছু স্বার্থান্বেষী কুচক্রীমহল আমার পিছনে লাগে। কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কথায় সিডিএ কর্তৃপক্ষ আমাকে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কোন দায়িত্ব দেয়নি।