সিপ্লাস টিভির চাটগাঁইয়া উৎসব শুরু, প্রথমদিনেই জমজমাট
চট্টগ্রাম নগরীতে শুরু হয়েছে বহু কাঙ্ক্ষিত চাটগাঁইয়া উৎসব। অনলাইনভিত্তিক জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল সিপ্লাস টিভির ৮ম বর্ষে পদার্পণে তিন দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় নগরীর কাজির দেউরির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ফিতা কেটে জমকালো এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী ঘোষণা করা হয়।
সবার জন্য উন্মুক্ত এই চাটগাঁইয়া উৎসব চলবে ১ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা। উৎসব ঘিরে বসেছে দেশি-বিদেশি নানা পণ্যের মেলা। আছে নানা মুখরোচক খাবারের প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র।
উদ্বোধনী বক্তব্যে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম বলেন, বাংলা ভাষার সবচেয়ে বড় সম্পদ তার আঞ্চলিক ভাষার সৌন্দর্য। অসাধারণ সব শব্দের বিন্যাস নিয়ে বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলো আমাদের ভাষার সমৃদ্ধি ঘটিয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা সবচেয়ে সমৃদ্ধ এবং জনপ্রিয় ভাষা। আর এই ভাষাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে সিপ্লাস টিভি। যে কারণে এই টিভি সব শ্রেণির মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে আঞ্চলিক ভাষায় নানা অনুষ্ঠান এবং সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে একটি আঞ্চলিক চ্যানেল দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দর্শকপ্রিয় অর্জন করেছে, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। সিপ্লাস টিভির আরও প্রচার প্রসার কামনা করছি। সেইসঙ্গে সিপ্লাস টিভির প্রধান সম্পাদক আলমগীর অপুসহ তার চৌকস টিম মেম্বারদের সাধুবাদ জানাই।
সিপ্লাস টিভি ও চাটগাঁ নিউজ ডট কমের প্রধান সম্পাদক আলমগীর অপুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন চেম্বার অব কমার্স ইন্ড্রাষ্টি সভাপতি ও কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, লেখক কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মাসুম চৌধুরী, ১৪ নম্বর লালখান বাজার চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছ, নাজিরহাট পৌর মেয়র এ কে জাহেদ চৌধুরী প্রমুখ।
উদ্বোধনের পর দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে শুরু হয় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বেলা বিস্কুট খাওয়ার প্রতিযোগিতা, ফুচকা ও কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার প্রতিযোগিতাসহ ভিন্নধর্মী নানা আয়োজন। সংগীত পরিবেশন করেছেন শিল্পী নাবিলাসহ এক ঝাঁক শিল্পী।
এছাড়া দিনভর উৎসবের বিভিন্ন স্টল মনের আনন্দে ঘুরে দেখেছেন দশনার্থীরা। আর পছন্দ হলেই কিনে নিয়েছেন পণ্য। তবে সবচেয়ে ভিড় দেখা গেছে খাবারের স্টলে।