সিরাজগঞ্জে লাখো মানুষ পানিবন্দি, ৮ জনের মৃত্যু
তিন দিন মন্থরগতিতে কমতে থাকার পর সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে যমুনার অভ্যন্তরীণ চরাঞ্চলে বন্যায় প্রায় এক লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
বন্যার পানিতে ডুবে এখন পর্যন্ত জেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাজমুল হোসেন বলেন, আজকেও যমুনা নদীর পানি কিছুটা বাড়তে পারে। তবে আগামীকাল থেকেই কমে যাবে। চলতি মাসে এ অঞ্চলে বন্যার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ২৩ হাজার ৩০৬টি পরিবারের এক লাখ ৩ হাজার ৫৯৪ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বন্যাদুর্গত এসব মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৩৩ টন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এখনও ১ হাজার ১৬৭ টন চাল, ২০ লাখ টাকা ও ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ আছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বন্যায় জেলার সদর, শাহজাদপুর ও চৌহালীতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নৌকা ডুবে চারজন ও পানিতে ডুবে আরও চারজন মারা গেছেন।