সীতাকুণ্ডের পাঁচ গরু চকরিয়ায় উদ্ধার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এস কে এম জুটমিল এলাকা থেকে গত আট এপ্রিল রাতে কৃষক আজমের বাচ্চাসহ দুধের গরু চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোন সম্ভাবনা না দেখে গরু ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দেন তিনি। কিন্তু ১১ দিন পর কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থেকে তার গরুটি বাচ্চা সহ উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ। চুরি যাওয়া গরু এতদিন পর ফিরে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
কৃষক আজম বলেন, পুলিশ যখন আমাকে চকরিয়া যেতে বলছে তখনও আমি বিশ্বাস করতে পারিনি আমার গরু ফিরে পাবো। গরুটি ছিল আমার সন্তানের মত। ১২ বছর ধরে আমি এই গরুটিকে পালন করছি। গরু ফিরে পাওয়ার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে উত্তর দিক থেকে কয়েকজন চোর একটি পিকাপে করে চোরাই গরু নিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর পেয়ে ওসি কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি টিম মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে গরু বোঝাই একটি পিকআপ আসতে দেখে পুলিশ সিগনাল দিলে পিকআপটি সিগনাল অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পিকআপটি পৌর বাজার সংলগ্ন গোডাউন রোডে ঢুকে পড়ে। সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে পুলিশের দিকে ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে পালানোর চেষ্টা করে চোরের দল। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও আরো কয়েকজন চোর পালিয়ে যায়।
আটক চোররা হলেন— কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার চকরিয়া পৌরসভা এলাকার লক্ষ্মারচর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ মুবিন উদ্দিন (৩২), একই এলাকার পশ্চিম ভাঁটাখালী গ্রামের নবাব মিয়ার পুত্র মো. সোহেল (২৪) ও ভাড়া মুড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ আবদুল শুক্কুর (৩৪)।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল উদ্দিন বলেন, কয়েকজন চোর একটি পিকাপে করে চোরাই গরু নিয়ে যাচ্ছে খবর পেয়ে আমরা ধাওয়া শুরু করি। এক পর্যায়ে তারা আমাদের দিকে ৩ রাউন্ড গুলি ফায়ার করে। চোরদের কয়েকজন পালিয়ে গেলেও অস্ত্রসহ আমরা তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হই। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থেকে আরো দুটি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়। আটক চোরদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।