সীতাকুণ্ডের রঙিন ফুলকপি নজর কাড়ছে
চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডে দ্বিতীয়বারের মতো বিভিন্ন রঙের ফুলকপির আবাদ হয়েছে। সাদা ফুলকপির চাইতে কিছুটা কম সময় লাগে রঙিন ফুলকপি চাষ করতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স (পার্টনার) প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের ফৌজদারহাট এলাকায় রঙিন ফুলকপি চাষ হয়েছে। এছাড়া উপজেলার নুনাছড়া, টেরিয়াইল, ফুলতলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে রঙিন ফুলকপির আবাদ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে মোট ৯৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।
বাংলাদেশে ‘রঙিন’ ফুলকপির চাষ শুরু হয় ২০২১ সালে। জামালপুরের এক একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ অ্যাগ্রো কম্পোজিট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে মাটি ছাড়াই কোকোফিডের মধ্যে সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। তারা ভারত থেকে কিছু রঙিন ফুলকপির বীজ এনেছিল পরীক্ষামূলক চাষের জন্য। সেখানে রবি মৌসুমে হাজার দুয়েক চারা উৎপাদন করা হয়।
জানা গেছে, অতিরিক্ত পরিমাণে বেটা ক্যারোটিনের কারণে ফুলকপি কমলা রঙের হয়। এই রঙের সবজিতে অন্য রঙের সবজির তুলনায় পঁচিশ গুণ বেশি ভিটামিন ‘এ’ উপাদান থাকে। আবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্থোসিয়ানিন্সের উপস্থিতির কারণে ফুলকপির রঙ বেগুনি হয়। বেগুনি ফুলকপি রান্নার পর বিবর্ণ হলেও কমলা ফুলকপি বিবর্ণ হয় না। কমলা রঙের ফুলকপির মতো বেগুনি ফুলকপিতেও সাদা ফুলকপির তুলনায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে। বেগুনি রঙের ফুলকপি প্রদাহ উপশম, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে উপকারী।
সীতাকুণ্ড উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুপর্ণা বড়ুয়া বলেন, রঙিন ফুলকপি চাষে রোগবালাই কম হয়। জৈব উপায়ে এই ফুলকপিতে আসা পোকামাকড় দমন করা যায়। চাষিকে বাড়তি কোনও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না।