সীতাকুণ্ডের লিচু প্রথমবার যাচ্ছে ইউকে ও মালদ্বীপে
নানান জাতের সবজি ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানির পর এবার সীতাকুণ্ডের লিচু যাচ্ছে ইউরোপের ইউকে ও এশিয়ার মালদ্বীপে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পরীক্ষামূলকভাবে উপজেলা থেকে বোম্বাই জাতের ৩ হাজার লিচু পাঠানোর মধ্য দিয়ে এই রপ্তানি শুরু হয়। এতে উপজেলার কৃষি আরো সমৃদ্ধ হলো বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সীতাকুণ্ডের পাহাড় ও সমতল ভূমিতে নানারকম লিচুর ফলন হয়। এ লিচু এতকাল স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হতো। এবারই প্রথম ঢাকার এক পাইকারি ব্যবসায়ী সীতাকুন্ড থেকে লিচু সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলকভাবে পাঠিয়েছেন ইউকে ও মালদ্বীপে।
এ বিষয়ে লিচুর উৎপাদনকারী সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ইদিলপুর গ্রামের প্রবীণ কৃষক মো. আবুল মনছুরের ছেলে মাহমুদ হাসান শিশিরের সাথে কথা হয় । তিনি বলেন, সীতাকুন্ড পাহাড়ে এক হাজার লিচু গাছের একটি বাগান তাদের। এই বাগানে প্রচুর বোম্বাই জাতের লিচুর চাষ হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান এই লিচু নেবার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তারা লিচু বিদেশে পাঠাতে চান। তাদের প্রস্তাব শুনে আমরাও রাজি হবার পর শ্যামবাজারের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এস. কে ইন্টারন্যাশনাল ৩ হাজার লিচু পরীক্ষামূলকভাবে নিয়ে গেছে। সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় রঙের এই লিচু তারা ইউকে ও মালদ্বীপে পাঠিয়েছেন গত বৃহস্পতিবার রাতে। গুণগতমান ভালো হলে এখান থেকে আরো লিচু নিয়ে যাবে বলে আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শ্যামবাজারের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এস. কে ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী এ এস খাঁন বলেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে এ প্রথম পাহাড়ি বোম্বাই জাতের লিচু সংগ্রহ করে ইউকে ও মালদ্বীপে পাঠিয়েছি। বৃহস্পতিবার সংগ্রহের পর শুক্রবার আকাশপথে সেগুলো পাঠানো হয়েছে।
সীতাকুণ্ড কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, সীতাকুণ্ড পাহাড় ও সমতলভূমি মিলে ২৭ হেক্টর জায়গায় প্রায় শতাধিক কৃষক সুমিষ্ট বোম্বাই ও চায়না থ্রি জাতের লিচুর আবাদ করেছেন। কৃষিবিভাগ সবসময় কৃষকদের এ লিচু চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে। এতে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে, অন্যদিকে কৃষকরাও আর্থিকভাবে সচ্ছল হবে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে. এম রফিকুল ইসলাম বলেন, সীতাকুন্ড থেকে বিদেশের মাটিতে লিচু যাচ্ছে এটা আমাদের জন্য আনন্দের ও গর্বের। ভবিষ্যতে আরো বেশি লিচুসহ অন্যান্য ফলমূল, সবজি রপ্তানি হবে এ প্রত্যাশা করছি আমি।