সীতাকুণ্ডে অনুমোদনহীন সাবানের কারখানায় অভিযান, জরিমানা
সীতাকুণ্ডে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন বল সাবানের কারখানায় জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে রয়েল সোপ ক্যামিকেল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসাথে ১০ হাজার বল সাবান ও ৫০ ড্রাম ক্যামিলকেল জব্দ এবং প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধায়ককেও আটক করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এর তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ইমামনগর গ্রামে অবস্থিত ওই কারখানায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানুর রহমান। এসময় বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার মাহফুজুর রহমানসহ সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ইমামনগর গ্রামে কতিপয় দুস্কৃতিকারী ছত্রছায়ায় একটি গোডাউন ভাড়া নিয়ে কাপড় কাচার নিম্নমানের সাবান উৎপাদন করছিল রয়েল সোপ ক্যামিকেল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। জনস্বাস্থ্য ও কাপড়ের জন্য ক্ষতিকর এসব বল সাবান বাজারজাত করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটির অসাদু উদ্যোক্তারা। গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এর তথ্যের উপর ভিত্তি করে সেখানে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই।
অভিযান প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেইসাথে প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক কাঞ্চন দাসকে (৪০) আটক করা হয়েছে। কাঞ্চন দাশ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানার বৈলতলী এলাকার বিধান দাশের ছেলে। তাকে বর্তমানে সীতাকুণ্ড থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। জরিমানা আদায়ে তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া ম্যাজিস্ট্রট।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানুর রহমান বলেন, অনুমোদনহীন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার বল সাবান ও ৫০ ড্রাম ক্যামিকেল জব্দ করা হয়েছে। এগুলো সবচেয়ে নিন্মমানের বল সাবান। যা স্বাস্থ্য ও কাপড়ের জন্যও ক্ষতিকর।
বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা দেখতে পাই কারখানাটিতে লন্ড্রী সাবান বানানো হচ্ছে। লন্ড্রী সাবান বিএসটিআইয়ের ২৭৩ টি পণ্যের মধ্যে একটি। এটি উৎপাদনে বিএসটিআইয়ের সনদ বাধ্যতামূলক। এছাড়াও তাদের মোড়কেরও কোন নিবন্ধন সনদ নেই। কিন্তুু তারা আইনের তোয়াক্কা না করে আমাদের স্ট্যাণ্ডার্ড মার্ক ব্যহার করে জনগণের সাথে প্রতারণা করে আসছে। যা বিএসটিআই আইন ২০১৮ ও ওজন এবং মানদণ্ড আইন ২০১৮ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।