দেশজুড়ে

সীতাকুণ্ডে চাকমা নারীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

সীতাকুণ্ডে চাকমা সম্প্রদায়ের এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার ভোরে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সলিমপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (৩৮)সহ অজ্ঞাত আরো দু’জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে মামলা পরবর্তীতে গতকাল সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মো. গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মধ্যবয়সী চাকমা সম্প্রদায়ের ওই নারী তার ষাটোর্ধ স্বামীকে নিয়ে সলিমপুরে একটি পাহাড়ে কলাবাগানে কাজ করতেন। তারা ওই বাগানের ভেতরে একচালা টিনের ঘর বানিয়ে বসবাস করতেন। কিছুদিন আগে মো. গিয়াস উদ্দিন পাহাড়ের ভেতরে এসে ওই নারী ও তার স্বামীকে হুমকি দেয়। গিয়াস উদ্দিন পাহাড়টি তার দাবি করে তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলে। এ ঘটনার পর গত ২৯ জুন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই নারীকে ফোন করে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে এবং কেন তারা পাহাড় ছেড়ে এখনো যায়নি তা জানতে চায়। তারা পরদিন চলে যাওয়ার কথা বললে গিয়াস উদ্দিন ফোনের লাইন কেটে দেয়। রাতে খাবার পর স্বামীসহ নিজ বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন ওই নারী। দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে গিয়াস উদ্দিন দুইজন অজ্ঞাত লোককে নিয়ে তাদের বসতঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় গিয়াস উদ্দিন তার সাথে থাকা দুজন মিলে ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীর চোখ মুখ বেঁধে ফেলে। পরে ওই চাকমা নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে গিয়াস উদ্দিন। এসময় গিয়াস উদ্দিনের সাথে থাকা অজ্ঞাত দুজন ঘরে থাকা বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, মধ্যরাতে নিজ বসতঘরে ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই চাকমা নারী বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *