সীমান্তের বাজারগুলো দেশি-পাহাড়ি পশুতে ঠাসা
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সীমান্তবর্তী বাজারগুলোতে কোরবানি পশুর হাট জমে উঠেছে। দেশি ও পাহাড়ি জাতের গরুর দাম অন্যান্য বাজারের তুলনায় এখানে কম। তাই এসব বাজারে বেশ ভিড় চোখে পড়ছে।
শুক্রবার (৭ জুন) সাপ্তাহিক হাটের দিন উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট ভারত সীমান্তবর্তী বাগানবাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তায় সারি সারি গরু। কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। ক্রেতা-বিক্রেতা ও উৎসুক জনতার উপচেপড়া ভিড়। গরু ওঠা-নামায়ও কোনো খরচ নেই। তবে কত কেজি গরু তা আধুনিক মেশিনে মেপে নেয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে এ বাজারে।
নাজিরহাট থেকে গরু নিতে আসা ফোরকান নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘এ বাজারে বেশি গরু উঠে শুনে দেখতে আসলাম, পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যাব।’
হাটহাজারী থেকে আসা সাদেক নামে আরেক জন বলেন, ‘আমি মানুষের মুখে শুনে প্রথমবার এ হাটে এসেছি। ৯০ হাজার টাকায় একটি গরু নিয়েছি। গরু ও দাম নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষ করে দেশীয় জাতের সব ধরনের গরু এখানে দেখেছি।
রামগড় থেকে আসা গরু বিক্রেতা খায়ের আহমেদ জানান, আমি বাড়িতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও দেশীয় পদ্ধতিতে ৪টি গরু বড় করেছি। এগুলো এবার বিক্রি করবো। দাম ভালোই উঠেছে। তবে আরেকটু বেশি পাওয়ার আশায় এখনো গরু বিক্রি করিনি।
ওইচ্চিকু মারমা নামে এক বেপারি বলেন, ‘এ বাজারটিতে আমি সারা বছর গরু বেচাকেনা করি। আজ বাজারে ১২টি গরু নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য, এখন পর্যন্ত ৭টা বিক্রি করেছি। দামও ভাল পেয়েছি।’
এছাড়াও সীমান্তবর্তী চিকনছড়া, হেঁয়াকো, দাঁতমারা, শান্তিরহাটসহ, নারায়নহাট, কাজিরহাট, চামার দীঘিপাড়, কাঞ্চননগর চৌমুহনী বাজারসহ বিভিন্ন পশুর হাটে প্রচুর গরু দেখা গেছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বেপারিরাও বিভিন্ন স্থান থেকে এসব বাজারে গরু নিয়ে আসছে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠছে এসব বাজার।