সীমান্তে গুলি না করে গ্রেপ্তার করতে বলেছি: বিজিবি মহাপরিচালক
বডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, ভারতীয় সীমান্তে যারা হত্যা হচ্ছেন, তারা বেশির ভাগই ভারতে অনুপ্রবেশ করছেন। এমনকি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওপর আক্রমণও করছেন।
তবে গুলি না করে গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে আমাদের হাতে দিলেই আমরা বিচার করতে পারব। সীমান্ত হত্যা কখনোই মীমাংসা হতে পারে না, বলেন বিজিবি মহাপরিচালক।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা পাড়ের বন্যাদুর্গত দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, অনেক সময় সীমান্ত চোরাকারবারিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। তাদের দাবি, এ কারণেই তাদের ওপর গুলি চালানা হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কখনোই গুলি করতে চায় না। আমাদের সব সময় চ্যালেঞ্জ করছেন তারা। আমরা বলেছি, তাদের গুলি না করে গ্রেপ্তার করে আমাদের হাতে তুলে দিন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জব্বাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তে শুধু বাংলাদেশি মারা পড়ছে না, ভারতীয়রা সীমান্তে চোরাকারবারি করলে তাদেরও গুলি করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে বিজিবি সব সময় সচেতনামূলক সেমিনার করছে। কখনো মসজিদ-মন্দিরসহ সীমান্তে অনুষ্ঠান করে সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়াও চোরাকারবারিসহ অনেক সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন দোকানপাট, ভ্যানগাড়ি কিনে দেওয়া হয়েছে। যেন তারা পূর্বের পেশায় ফিরে গিয়ে সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করে বাঁচতে পারে। এভাবেই পূর্বের থেকে বর্তমানে সীমান্ত হত্যা অনেক কমে এসেছে।
বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (জিএস শাখা) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবির রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশিদ এবং তিস্তা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মোসাহিদ মাসুমসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বন্যাদুর্গত এলাকার ২৫০টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে শুকনো খাদ্যসামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, তেল, আলু, চিড়া, গুড়, নুডুলস, লবণ, মোমবাতি ও দিয়াশলাই বিতরণ করেন বিজিবি মহাপরিচালক।