লাইফস্টাইল

সুখী দম্পতিদের ৫টি গোপন অভ্যাস

প্রেমে পড়া সহজ, প্রেম ধরে রাখা কঠিন। এবং এর চেয়ে কঠিন হলো একই ব্যক্তির প্রেমেই দিনের পর দিন ডুবে থাকা। বুঝতেই পারছেন, বলছি বৈবাহিক জীবনের কথা। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে, কেন কোনো কোনো দম্পতি বছরের পর বছর সুখী জীবন পার করতে পারে, যেখানে অনেক দম্পতিই ব্যর্থ হয়ে যায়? আসলে বিয়ের পরে অনেকেই সঙ্গীকে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে ভুলে যায়। সেখান থেকেই শুরু হয় সমস্যা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সুখী দম্পতিরা কেন সুখী হয়-

পরিবারের সঙ্গে বাউন্ডারি রাখে

সুখী দম্পতিরা সব সময় একে অপরকে প্রথমে রাখে এবং একটি দল হিসাবে একসঙ্গে কাজ করে। তারা তাদের পরিবারের কাছে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে না বা জীবনের সব সিদ্ধান্ত নিতে তাদের পরিবারের দ্বারা প্রভাবিত হয় না। তারা একে অপরের সঙ্গে স্পষ্টভাবে কথা বলে, সব বিষয়ে পরিবারকে ডেকে আনে না। দুই পরিবারের কাছে নিজেদের কিছু প্রাইভেসি তারা বজায় রাখে। কারণ তারা দু’জন মিলে গঠন করেন একটি নতুন পরিবার।

বেস্ট ফ্রেন্ড

তারা শুধু একে অপরকে ভালোবাসে না, একে অপরকে খুব ভালো বোঝে। সুখী দম্পতিরা একে অপরের সেরা বন্ধু এবং তারা একে অপরের সঙ্গকে সত্যিকারের ভালোবাসে। কাজ করা থেকে শুরু করে একসঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটানো পর্যন্ত- তাদের জীবনের লক্ষ্য এবং মতামত একই রকম। তাদের এই সম্পর্ক বন্ধুত্বের শক্ত ভিত্তির ওপর ভিত্তি করে টিকে থাকে।

কঠিন সময়ে একসঙ্গে থাকা

অনেকেই বলে থাকেন যে, কঠিন সময়ে সঙ্গী চেনা যায়। এসময় হয় সম্পর্ক ভেঙে যায়, নয়তো কাছাকাছি নিয়ে আসে। আর তাই, যে দম্পতিরা দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্য জীবনে টিকে আছে তারা সঙ্গী হিসেবে একসঙ্গে অনেক দুঃখের সময় পাড়ি দিয়ে এসেছে। এই কঠিন সময়গুলোই তাদের একে অপরের কাছাকাছি এনেছে এবং তাদের সংযোগকে আরও গভীর এবং শক্তিশালী করেছে।

ছোটখাটো ত্রুটি এড়িয়ে যায়

আমরা মানুষ এবং আমাদের ত্রুটি বা ভুল থাকতে বাধ্য। সুখী দম্পতিরা তাদের সঙ্গীর ছোটখাটো ভুল এবং ত্রুটি এড়িয়ে যায়। এর বদলে তারা সঙ্গ ছোট-বড় গুণগুলোকে সামনে আনতে পছন্দ করে। সঙ্গীকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করার পরিবর্তে তাদের মতো করে গ্রহণ করে। তারা শুধু ভালোবাসে না, একজন ব্যক্তি হিসেবে সঙ্গীকে সম্মান করে।

ঝগড়া করে!

বিয়ে সহ যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে মতবিরোধ থাকা স্বাভাবিক। যাদের দীর্ঘ বৈবাহিক জীবন, তাদের মাঝে মাঝেই ঝগড়াও হয়। তবে তারা ভুলভাল বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে না। তারা একে অন্যকে ভালোবাসে বলেই প্রত্যাশাটাও বেশি থাকে। একসঙ্গে থাকতে চায় বলেই ভুলগুলো শুধরে সামনে এগিয়ে যেতে চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *