সুপার এইটে ৭ দল, অষ্টম দল হবে বাংলাদেশ?
প্রথমবারের মতো ২০ দলের অংশগ্রহণে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর চলছে। যেখানে এখনও বেশ কয়েকটি ম্যাচ বাকি গ্রুপ পর্বের। তবে ইতোমধ্যে সাতটি দলের সুপার এইট এবং ১১ দলের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। অষ্টম দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাওয়ার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে আছে বাংলাদেশ, এক্ষেত্রে তাদের লড়াইটা নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে। যার চূড়ান্ত ফায়সালা হয়ে যাবে আগামীকাল (সোমবার)।
বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল মুখোমুখি হবে নেপালের। ঠিক এক ঘণ্টা পর নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা–নেদারল্যান্ডস পরস্পরের মোকাবিলা করবে। দিনের প্রথম ম্যাচে যদি বাংলাদেশ জিতে যায়, তাহলে আর কোনো হিসেব-নিকেশ বাকি থাকবে না। সমীকরণ জয় করে টাইগাররাই অষ্টম দল হিসেবে সুপার এইটে ওঠে যাবে। আবার তারা যদি হেরে যায়, তাহলে অপেক্ষা করতে হবে লঙ্কা-ডাচ ম্যাচের ফলাফলের জন্য। সেখানে ডাচরা জিতলে হবে রানরেটের হিসাব, এগিয়ে থাকা দল যাবে সুপার এইটে।
এদিকে, সপ্তম দল হিসেবে আজ বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করল গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। যদিও এক্ষেত্রে তাদের নির্ভর করতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ওপর। গতকাল রাতে নামিবিয়াকে বৃষ্টি আইনে ৪১ রানে হারিয়ে পাঁচ পয়েন্ট অর্জন করে জস বাটলারের ইংল্যান্ড। এতে তাদের সঙ্গে সমতা তৈরি হয় স্কটল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজ স্কটিশদের পরাজয়ের কারণে রানরেটে এগিয়ে থাকা ইংলিশরা পরের রাউন্ডে ওঠে যায়। ফলে নিশ্চিত হয়ে গেল সুপার এইটে দুই নম্বর গ্রুপের ফিক্সচার। ওই গ্রুপে থাকা দলগুলো হচ্ছে– ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অভিষেকেই ইতিহাস গড়া যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে, সুপার এইটের এক নম্বর গ্রুপও প্রায় ঠিক হয়ে গেছে। বাকি কেবল একটি দলের জন্য অপেক্ষা। বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের যে দল সুপার এইটে উঠবে তারা পড়বে এক নম্বর গ্রুপে। যেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছে টুর্নামেন্টের দুই ফেবারিট ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তান। অর্থাৎ, টাইগাররা পরের রাউন্ডে গেলে বেশ ভালো চ্যালেঞ্জের মুখেই যে পড়তে যাচ্ছে, সেটা অনেকটাই নিশ্চিত।
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে বাংলাদেশে। এদিন দেশে ভোরের আলো ফুটতেই প্রায় ১৪ হাজার ৯০০ কিলোমিটার দূরত্বে মাঠে নামবেন সাকিব আল হাসান ও নাজমুল শান্তরা। আগের ম্যাচে সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস যখন মুখোমুখি হয়েছিল, সেটি ছিল ভেন্যুটিতে ১০ বছর পর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ফলে কন্ডিশন সম্পর্কে একটা ধোঁয়াশা ছিল। ডাচদের বিপক্ষে জয় পাওয়ার দিনে অন্তত কিছুটা ধারণা পেয়েছে বাংলাদেশ। তবুও আগামীকালের ম্যাচের আগে সেভাবে স্বস্তি দিচ্ছে না টাইগারদের। কারণ একই ভেন্যুর পিচ দক্ষিণ আফ্রিকা-নেপাল ম্যাচে ভিন্ন আচরণ করেছে।
আগে ব্যাট করে প্রোটিয়ারা মাত্র ১১৫ রান তুলতে পারে নেপালের বিপক্ষে, জবাবে সেই লক্ষ্য প্রায় ধরে ফেলেছিল এশিয়ান দেশটি। তবে হিমালয়ান অঞ্চলের ক্রিকেটাররা বোকামি কিংবা অসতর্কতার বশে রানআউট হয় শেষ বলে। ফলে তাদের ১ রানে হারের আক্ষেপে পুড়তে হয়। সেই একই পিচ আগামীকালও থাকলে, এখানে রাজত্ব করতে পারেন সাকিব-রিশাদ হোসেনদের মতো স্পিনাররা। অবশ্য নেপালের স্পিনাররা প্রোটিয়াদের যেভাবে কাঁপিয়ে দিয়েছিল, সেই ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে টাইগারদের!