চট্টগ্রাম

সেই ইউরোপিয়ান ক্লাবকে প্রীতিলতা জাদুঘর না করায় ক্ষোভ

ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিকন্যা প্রীতিলতার শেষ স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক ইউরোপিয়ান ক্লাবকে জাদুঘরে রূপান্তর না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন মাস্টারদা সূর্য সেন স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি ও মাস্টারদা সূর্য সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির সদস্য শ্যামল কুমার পালিত।

রোববার (৫ মে) বীরকন্যা প্রীতিলতার জন্মদিনে নগরের পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব সংলগ্ন আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তিনি এ ক্ষোভ জানান।

তিনি বলেন, যে ইউরোপিয়ান ক্লাব দেখতে ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ছুটে এসেছিলেন সেই ঐতিহাসিক স্থানটির গুরুত্ব আমরা এখনো উপলব্ধি করতে পারছি না। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এ স্থানটি সম্মানের ও গৌরবের।

যেখানে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়েছিলেন বীরকন্যা প্রীতিলতা। ব্রিটিশ সেনাদের হাতে ধরা পড়ার ও বিপ্লবীদের তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কায় পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে গুলিবিদ্ধ প্রীতিলতা আত্মাহুতি দিয়েছিলেন ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য।
তিনি বলেন, একটি ঐতিহাসিক স্থানে রেলওয়ের ছোট্ট একটি কার্যালয় খুলে রাখার মানে হয় না। এ নগরেই রেলওয়ের বিপুল সম্পদ। রেলওয়ের জায়গায় বেসরকারি খাতে বিশ্বমানের নানা স্থাপনা গড়ে উঠছে। তাদের ইচ্ছে থাকলে ইউরোপিয়ান ক্লাবে রেলওয়ের ছোট্ট অফিসটি অন্য ভবনে, অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া এক দিনের ব্যাপার মাত্র। আমরা জোর দাবি জানাই, অনতিবিলম্বে ইউরোপিয়ান ক্লাবে প্রীতলতা জাদুঘর চালু করা হোক।

বীরকন্যার আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. বিধান কুমার মিত্র, বিশ্বজিৎ পালিত, সদস্য সুকান্ত দত্ত, বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের মহানগর সদস্যসচিব শিপুল কুমার দে প্রমুখ।

১৯১১ সালের ৫ মে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *