সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে সুরক্ষিত ছিল বিএমপির সব থানা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর সারা দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালানো হলেও বরিশাল মহানগরের কোনো থানায় এমন ঘটনা ঘটেনি।
জানা গেছে, কোতোয়ালি মডেল থানা, বন্দর থানা, বিমানবন্দর (এয়ারপোর্ট) থানা ও কাউনিয়া থানা নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠিত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নমনীয় আচরণ বজায় রাখেন।
যদিও এর মধ্যে সরকার পতনের আগ মুহূর্তে গত ৫ আগস্ট দুপুরের দিকে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা কাউনিয়া থানায় হামলা চালাতে গেলে পুলিশ তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তবে সেই উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতির খবর পেয়ে বরিশাল সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আল-আমিন ও মেজর মোহাম্মদ রাশেদ খানের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা সেখানে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে কথা বলে তাদের নিবৃত্ত করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে সকালের দিকে একদল দুর্বৃত্ত থানা ভবন ঘেরাও করে হামলা ও লুটপাটের চেষ্টা চালায়। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে সেনা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসার পর কোনো রক্তপাত ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
গত ৬ আগস্ট থেকে পুলিশের কর্মবিরতির কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সম্ভাবনা থাকলেও সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহলসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অনেকটাই নিরাপদ ছিলেন মেট্রো এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়া পরবর্তীতে সেনা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে জনগণের সেবায় থানা পুলিশের কার্যক্রম পরিচালনাও শুরু হয়।
সার্বিক বিষয়ে মেজর মোহাম্মদ রাশেদ খান জানান, বরিশালে সেনা মোতায়েনের পর থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত। সেই দায়িত্ব থেকে গত ৫ আগস্ট কাউনিয়া থানায় হামলা চেষ্টার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধদের নিবৃত্ত করা হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যরাও সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন বলে জানান তিনি।