কক্সবাজারচট্টগ্রাম

সৈকতে অস্বাস্থ্যকর ফিশফ্রাই বিক্রি, ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

কক্সবাজার: কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গড়ে তোলা ফিশ ফ্রাইয়ের (ভাজা মাছ) দোকানে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় চারটি ভাজা মাছের দোকানে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কক্সবাজার জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

অভিযোগ ওঠে, দোকানগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে খাবার। এছাড়া পচা-বাসি মাছ খাওয়ানো হচ্ছে পর্যটকদের। কয়েক সপ্তাহ আগের তেলেও সেগুলো ভাজা হচ্ছিল। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া চারটি ভ্রাম্যমাণ ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যে দোকানগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে সেগুলোকে সিলগালাও করে দেওয়া হয়।

পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের দায়ে চারটি ভ্রাম্যমাণ দোকানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া দোকানগুলো সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সবগুলো ফিশ ফ্রাই দোকান আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা যখন মান ঠিক করে তার প্রমাণ দিতে পারবে, তখন দোকানগুলো আবার চালু করার অনুমতি দেওয়া হবে।

কক্সবাজারের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, সবগুলো ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাছ ভাজা হচ্ছিল। এছাড়া সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হচ্ছে সেগুলো পচা তেলে ভাজা হয়। দোকানগুলোতে দাঁড়ানোর অবস্থাও নেই। খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। এসব খাবার খাওয়ার ফলে মানবদেহে গ্যাস্টিকসহ মরণঘাতী রোগ ক্যান্সার হতে পারে।

কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সদস্য সচিব এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, সুগন্ধা পয়েন্টসহ সৈকতের কয়েকটি স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভাজা মাছ ও কাঁকড়া বিক্রি হচ্ছে। এসব খেয়ে প্রতিনিয়ত পর্যটক ও স্থানীয় লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অভিযোগ আছে, বাজার থেকে কমমূল্যে পচা মাছ কিনে এনে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা ভ্যানে করে পর্যটকদের কাছে ভাজা মাছ ও কাঁকড়া বিক্রি করেন। এমনকি পর্যটকদের কাছ থেকে দামও রাখা হয় বেশি। ধুলাবালি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও খোলামেলা জায়গায় এভাবে ভাজা মাছ বিক্রি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *