সোমবার চসিকে ঘুষকাণ্ডের ‘ফিরিস্তি’ প্রকাশ!
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কমিটির সদস্যরা সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তবে প্রতিবেদনে কী উল্লেখ রয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে কিনা এবং কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে; তার কিছুই নিয়েই মুখ খুলছে না তদন্ত কমিটি। যদিও আগামীকাল (সোমবার) সেটি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
রবিবার সন্ধ্যায় সিভয়েস২৪’কে শেখ তৌহিদুল বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। তবে এরপরই আমাকে জরুরি কাজে ঢাকায় চলে আসতে হয়েছে। তাই আগামীকাল (সোমবার) প্রতিবেদনের বিষয়টি পুরোপুরি জানানো হবে এবং সেটির ওপর ভিত্তি করেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, কয়েকমাস পর আলোচিত সেই মাসুদুল ইসলাম এলপিআরে যাচ্ছেন। সেদিক বিবেচনায় তাঁর বিরুদ্ধে চাকরিজীবনের শেষপ্রান্তে ‘কঠিন’ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার চিন্তাভাবনাও করছে সহানূভূতিশীল একটি পক্ষ।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজনকে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা, জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমদের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের ওই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
ঠিকাদারদের চেক বুঝিয়ে দেওয়ার সময় হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামের প্রকাশ্যে ‘ঘুষ’ নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ৫০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত ‘পকেটভরা’ হিসাবরক্ষক মাসুদুল-কাণ্ড বলে অভিযোগ উঠেছে।
এরপর ২৭ আগস্ট ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে চসিকের হিসাবরক্ষক মাসুদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া অভিযোগের বিষয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি সাত (৭) কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে চসিক সচিব বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমদ সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সেটি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের কাছে আছে। তিনি অফিসের কাজে ঢাকায় রয়েছেন। উনি এলেই তদন্ত প্রতিবেদন এবং কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা জানানো হবে।’
চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন তো জমা হয়েছে। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রশাসক স্যার বলতে পারবেন।’