চট্টগ্রামরাউজান

সৌদি রিয়ালের লোভে লাখ টাকা খোয়ালেন মাদরাসা শিক্ষক

চট্টগ্রাম: রাউজানে মাদরাসার এক শিক্ষক সৌদি রিয়ালের লোভে পড়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হারিয়েছেন। উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ ওমর ফারুক। তিনি একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। এ বিষয়ে রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, সম্প্রতি ওমর ফারুক চিকিৎসা নিতে স্ত্রীকে নিয়ে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। চিকিৎসা শেষে ফেরার পথে পরিচয় হয় প্রতারক চক্রের এক সদস্যের সঙ্গে। কথা বলার এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রতারক ওই শিক্ষককে একটি ৫০ টাকা মূল্যমানের রিয়াল দেখিয়ে বিনিময়ে কিছু টাকা চান। শিক্ষক তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে রিয়ালটি হাতে নিয়ে টাকা বিনিময় করেন। এ সময় ওই প্রতারক শিক্ষকের মোবাইল নম্বর নেয়।

১৯ মে ওই প্রতারক শিক্ষককে ফোন করে জানায়, তার কাছে আরো কিছু সৌদি রিয়াল আছে। আগের দরে ওসব রিয়াল চাইলে কিনতে পারবেন। শিক্ষক প্রতারকের ফাঁদে পা দিয়ে সৌদি মুদ্রা কিনতে রাজি হন। রাউজান ফকিরহাটের এক দোকানে স্ত্রীর স্বর্ণ বন্ধক রেখে এক লাখ ২০ হাজার টাকা নেন। এই টাকা নিয়ে চলে যান প্রতারক চক্রের দেওয়া ঠিকানা দক্ষিণ রাউজানের পাহাড়তলী এলাকায়। প্রতারক দল সেখানে একটি পুটলি নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। প্রতারকরা শিক্ষকের কাছ থেকে এক লাখ বিশ হাজার টাকা গুণে নিয়ে তাদের হাতে থাকা কাপড়ের পুটলি শিক্ষককের হাতে দিয়ে দ্রুত চলে যেতে বলে। তাদের কথা মতো শিক্ষকও স্ত্রীকে নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। পরে একটু দূরে এসে পুটলি খুলে দেখেন, সেখানে কাগজ ছাড়া কিছুই নেই। দৌড়ে ঘটনাস্থলে যেতেই উধাও হয়ে যায় প্রতারক চক্র। পরে মাদরাসা শিক্ষক ওমর ফারুক এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন।

প্রতারণার শিকার হাফেজ মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, তার সন্তানরা সৌদি আরবে থাকেন। তিনি জানান, রিয়ালগুলো বিক্রি করে কিছু লাভ হলে সেই টাকা তার অভাবগ্রস্ত মেয়েকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন।

হাফেজ মোহাম্মদ ওমর ফারুকের অভিযোগ তদন্ত করছেন রাউজান থানার এসআই মো. হোসাইন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এরমধ্যে নির্বাচন ছিল। তাই খোঁজ খবর নিতে পারিনি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত শুরু করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *