স্বর্ণালংকার লুট করতে নাতির বিরুদ্ধে নানিকে খুনের অভিযোগ
কক্সবাজারের টেকনাফে স্বর্ণালংকারের জন্য নানিকে খুন করল নাতি। শুধু তাই নয়, খুনের পর নানির মরদেহ বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশের নালায় ফেলে দেওয়া নাতি।
সোমবার ( ১ জুলাই) রাতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের রুহুল্ল্যারডেবা এলাকার এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহেদা খাতুন (৭৫) একই এলাকার ছৈয়দ আহমদের স্ত্রী এবং সাবরাং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাব্বির আহমদের মা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি ওসমান গনি বলেন, সোমবার বিকেলে বৃদ্ধা জাহেদা খাতুন পোশা ছাগলের খোঁজ নিতে ঘর থেকে বের হন। সন্ধ্যার পরও তিনি বাড়িতে ফিরে না আসায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে মধ্যরাতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি নালায় সন্দেহজনক মুখ বাঁধা একটি বস্তা দেখতে পান। বস্তার ভেতরে জাহেদা খাতুনকে মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, নিহত বৃদ্ধা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল পরিবারের নারী। তিনি গলায় ও কানে দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার পরিহিত ছিলেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, স্বর্ণালংকার লুটের জন্য ওই নারীকে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
নিহতের ছেলে সাব্বির আহমদ বলেন, তার আপন চাচাতো বোন মোবিনা আক্তার তার প্রতিবেশী। ওই চাচাতো বোনের ছেলে ছৈয়দ হোসেন ওরফে মামুন একজন বেকার ও উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। ইতিপূর্বে এলাকায় সংঘটিত কয়েকটি চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামুনের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, আমার মা সবসময় স্বর্ণালংকার পরে থাকতেন। গত কয়েকদিন ধরে আমার মা বাড়ি থেকে একা বের হলে মামুনসহ ২/৩ জন যুবক তাকে অনুসরণ করতো। এ নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি মাকে আমরা অবহিত করেছি।
তিনি আরও বলেন, তার মায়ের মরদেহ উদ্ধারের পর গলায় ও কানে পরিহিত স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়নি। আমাদের ধারণা মামুন স্বর্ণালংকার লুটের জন্য তার মাকে খুন করেছে।
ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুরে লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান ওসি।