কক্সবাজারচট্টগ্রাম

স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান, পালাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে জুয়েলার্সের মালিকের মৃত্যু

স্বর্ণের লোভে টেকনাফে বৃদ্ধা নারীকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে খালে ফেলে দেওয়ার ঘটনার প্রধান আসামি ছৈয়দ হোসেন ওরফে মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামুনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জুয়েলার্সে বিক্রি করা স্বর্ণালংকার উদ্ধারে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ৪ তলা ছাদ থেকে পড়ে যান চম্পা জুয়েলার্সের মালিক দোলন ধর।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি এই তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার ছৈয়দ হোসেন মামুন সাবরাং ইউনিয়নের একই এলাকার হোসেন আহমদের ছেলে।

এছাড়া নিহত দোলন ধর (৩০) রামু উপজেলার রাজারকুল এলাকার সোনারাম ধরের ছেলে এবং টেকনাফ পৌরসভা লামার বাজারের চাম্পা জুয়েলার্সের মালিক। এর আগে এ ঘটনায় নারীসহ আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি জানান, সোমবার (১ জুলাই) দিবাগত রাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের রুহুল্যার ডেবা এলাকার খাল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় জাহেদা খাতুন নামে (৮২) এক বৃদ্ধা নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে পুলিশ ওই এলাকার এজাহার নামীয় আসামি মাইমুনা আক্তার, হাফেজ মিয়া, আব্দুল মোতালেব নামের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। এই ৩ জনের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি মামুনকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়াপাড়া এলাকা থেকে প্রধান আসামি ছৈয়দ হোসেন মামুনকে (৩২) বুধবার মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মামুন স্বীকার করে তার স্ত্রী মাইমুনা এবং অন্যান্য সহযোগী আসামিরা মিলে বৃদ্ধা জাহেরা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর স্বর্ণালংকার লুট করে। এরপর বস্তাবন্দি করে খালে ফেলে দেয়। লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার টেকনাফের লামার বাজারস্থ অংছিং মার্কেটে অবস্থিত চাম্পা জুয়েলার্স নামক দোকানে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করে। মামুনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বৃহষ্পতিবার ৪ জুলাই চাম্পা জুয়েলার্স নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করে স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণালংকার উদ্ধার অভিযানে যাওয়া পুলিশের ভয়ে ৪ তলা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন চাম্পা জুয়েলার্স নামের প্রতিষ্ঠানের মালিক দোলন ধর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *