স্বামীর আত্ম হননের ঘটনা সইতে না পেরে স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পারিবারিক কলহের কারণে শুভ (২৩) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন৷ পুলিশ যখন তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়, তখন সেই মরদেহের সঙ্গে গিয়ে থানার বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্ত্রী মীম আক্তার (২২)।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে পুলিশ শুভর মরদেহটি উদ্ধার করে।
ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে মরদেহটি ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
শুভর বাড়ি ঢাকার সাভারের লুটেরচর এলাকায়। বাবার নাম মোহাম্মদ আলী। কামরাঙ্গীরচর ট্যানারি পুকুর পাড় রক্সির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পেশায় অটোমোবাইল মিস্ত্রী।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদি হাসান জানান, স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে ভোরে ওই ভাড়া বাসায় টিনের চালার রডের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন শুভ। খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মরদেহের সঙ্গে থানায় গিয়েছিলেন তার স্ত্রী মীম। সবার অগোচরে থানার বাথরুমে গলায় ফাঁস দেন তিনি৷ এক নারী কনস্টেবল বিষয়টি টের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দরজা ভেঙে বাথরুমের ভেতর ঢুকে দেখেন, বাথরুমের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন তিনি। দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ভর্তি রয়েছেন মীম।