হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর : এবার মামলার আসামি সাবেক এমপি নদভী
চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীসহ ৭৩ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মিছিলে গুলি করে হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি নেওয়া শেষে মামলা আমলে নিয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার (১৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন মো. জাহেদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের জঙ্গল পদুয়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১ আগস্ট লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নুইরগা ডেবা নামক স্থানে আসামিরা নাচ-গানের আয়োজন করেন। একপর্যায়ে এলাকার সচেতন মহল গিয়ে নাচ-গানের আসর বন্ধ করতে বললে আসামিরা প্রকাশ্যে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। গত ৪ আগস্ট উপজেলা সদর বটতলী স্টেশনে চৌধুরী প্লাজার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল শুরু হওয়ার প্রাক্কালে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-জনতার মিছিলে উপর্যুপরি গুলি ছুড়ে, আশপাশের দোকান ভাঙচুর, ব্যক্তি মালিকানাধীন ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। ওই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে ধাওয়া করে হাসনাত নামের এক যুবককে এলোপাতাড়ি মাথা ও পিঠে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করা হয়।
এছাড়া আর কখনো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গেলে গুলি করে জানে মেরে ফেলবে, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দিবে এবং এরপরেও বেশি বাড়াবাড়ি করলে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইমতিয়াজ রেজা চৌধুরী নিশান বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।