হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে সারাদেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
তবে হাইকোর্টের এমন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে শিক্ষামন্ত্রণালয়। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিজ্ঞান কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেছেন, স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ দেখে আপিল করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে?
এ সময় সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করাই বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
যেসব শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন তাদের বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা অসুস্থ হয়েছেন, তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাকি অন্যত্র ছিলেন, তাও দেখার বিষয়।
মন্ত্রী বলেন, স্কুল গরমের জন্য বিপজ্জনক, আর মাঠ-ঘাট নয়? যেসব জেলায় তাপমাত্রা কম সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই।
এর আগে ঈদের ছুটি এবং গরম বন্ধ থাকার পর রোববার (২৮ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত গরমের কারণে ফের ঢাকাসহ ৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ফলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় শিশু শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। এমন সময়ে হাইকোর্ট স্ব-প্রণোদিত হয়ে আগামী ২ মে পর্যন্ত স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধ রাখতে বললেন।
অন্যদিকে ঢাকাসহ ৯ জেলায় স্কুল-কলেজ মঙ্গলবার বন্ধ রাখতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।