আন্তর্জাতিক

হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি

গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের বহুল প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন আজ। বুধবার কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হামাসের কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক চুক্তি কার্যকরের এই সময় জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, হামাস এবং ইসরায়েলের মাঝে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে।গাজায় বন্দি ৫০ জিম্মির মুক্তি ও চারদিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে ইসরায়েল এক চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেওয়ার পর হামাসের পক্ষ থেকে চুক্তিটি কার্যকরের সময় জানানো হয়েছে।

উপত্যকায় চলমান তীব্র লড়াই বন্ধে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এক চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে হামাস এবং ইসরায়েলের মাঝে মধ্যস্থতা করছে কাতার এবং মিসর। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে দফায় দফায় আলোচনার পর মঙ্গলবার শিগগিরই হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে বলে জানায় কাতার। পরে একই দিন রাতে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠকে হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন পায়।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, চার দিনের যুদ্ধবিরতির সময়কালে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

হামাসের এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কেমন হতে পারে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রথমত গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের আকাশে ইসরায়েলের সব ধরনের ড্রোন এবং যুদ্ধবিমানের কার্যক্রম চারদিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর উত্তর গাজার আকাশে ইসরায়েলি ড্রোন ও বিমানের কার্যক্রম চুক্তির মেয়াদকালে প্রত্যেকদিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় থাকা ইসরায়েলি সব সৈন্য এবং ট্যাংক তাদের অবস্থানে থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে বিরতি চলাকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কারও ওপর হামলা অথবা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। চুক্তি চলাকালে প্রত্যেকদিন মিসরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ত্রাণবাহী ২০০ লরি, চারটি জ্বালানি ট্যাংকার এবং চারটি গ্যাস বহনকারী লরি গাজায় প্রবেশের অনুমতি পাবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *