হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়বে, আশা বাইডেনের
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ৪৮ দিন টানা যুদ্ধের পর চার দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে সপরিবারের যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নানটুকেট দ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছেন বাইডেন। শুক্রবার সেখানেই এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তৃত কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে গাজা উপত্যকায় চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছে এবং আজ সকাল থেকে তা কার্যকর হয়েছে। অনেক নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি এবং আশা করছি, এই বিরতির মেয়াদ আরও বাড়বে।’
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর কতদিন বাড়তে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘আমি জানি না ঠিক কতদিন তা বাড়তে পারে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আরব বিশ্ব যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, এই যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ হ্রাস করতে যেভাবে বিভিন্ন দিক থেকে চাপ প্রয়োগ করছে, তাতে আশা করা যায় যে শিগগিরই সেখানে সংঘাতের অবসান ঘটবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন আরও বলেন, তিনি হামাসের হাতে জিম্মি প্রায় ১০ জন মার্কিন নাগরিকের বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসের পরিকল্পনা করা ৫০ জিম্মির তালিকার মধ্যে তাদের কয়েকজন থাকবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
এর আগে কাতারের মধ্যস্থতায় স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে চারদিনের এ যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ৩৯ জন কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে ২৪ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
হামাসের মুক্তি দেওয়া ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি, তাদের মধ্যে ৪টি শিশু, তাদের ৪ জন মা এবং ৫ জন বয়স্ক নারী রয়েছেন। এছাড়া ১০ জন থাইল্যান্ড এবং ১ জন ফিলিপাইনের নাগরিক। গাজা ও মিসরের সীমান্তপথ রাফাহ বর্ডার ক্রসিংয়ে মিসরের সরকার এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট কমিটির (আইসিআরসি) প্রতিনিধিদের কাছে এই জিম্মিদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে মোট ৫০ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেবে হামাস। অন্যদিকে ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এছাড়াও বন্দি মুক্তি নিয়ে আরও একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল।