খেলা

হারে হৃদয় ভাঙল, মাঠেই কান্না নেপালি সমর্থকদের

শেষ ওভারের শেষ বলে জয়ের জন্য কেবল প্রয়োজন ২ রান। ওটনিল বার্টম্যানের করা ডেলিভারে ব্যাটে লাগাতে পারেননি গুলশান ঝা।

অপর প্রান্ত থেকে ছুটলেন সোম্পাল কামি। এপ্রান্ত থেকেও রানের লক্ষ্যে ছুটলেন ঝা। ততক্ষণে বল কুইন্টন ডি ককের হাতে। তার করা থ্রো এসে লাগে ঝার পিঠে। সেখান থেকে ছুটে যাওয়া বল স্ট্যাম্পে থ্রো করে রান আউট সম্পন্ন করেন ক্লাসেন।

মুহূর্তেই ভেস্তে যায় নেপালের স্বপ্ন। দক্ষিণ আফ্রিকা উল্লাসে মাতলেও নেপালের দর্শক, ক্রিকেটার সবাই ভেঙে পড়েন। গ্যালারিতে সমর্থকদের কান্না ততক্ষণে দেখা গেল ক্যামেরায়। স্রেফ ১ রানের হারে ইতিহাস গড়া হলো না তাদের। এতে অবশ্য লাভ হয়েছে বাংলাদেশের। সুপার এইটে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে দলটির।

বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালের এই ম্যাচে সেন্ট ভিনসেন্টে আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান পর্যন্ত করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। রান তাড়ায় নেমে নেপালের শুরুটা দুর্দান্ত হলেও শেষে গিয়ে ভেঙে পড়ে তারা। ১১৪ রানেই থেমে যায় তারা। একই সঙ্গে আসর থেকে বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে গেল তাদের।

আসরের শুরু থেকে নেপালি সমর্থকরা নিজের দলকে দিয়ে আসছিল অকুণ্ঠ সমর্থন। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবল তাদের। যে দিনটি হতে পারত তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের স্মরণীয়তম দিন। সেই ম্যাচটিই শেষ পর্যন্ত পরিণত হলো বিষাদে। গ্যালারিজুড়ে যারা আনন্দ উল্লাস করে আসছিল, ম্যাচ শেষে দেখা গেল কান্নায় ভেঙে পড়ল তারা।

দর্শকদের এমন সমর্থনে বিমোহিত নেপালি অধিনায়ক রোহিত পাউডেল। ম্যাচ শেষে তাই সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে ভুলেননি তিনি। পাউডেলের ভাষ্য, ‘আমরা (জয়ের) খুব কাছেই ছিলাম। আমরা হয়তো কঠিন সময়ে ঠিকঠাক খেলতে পারেনি, তবে লড়াই করেছি। আমরা যখন বড় দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত খেলবো, তখন আমরা আরও উন্নতি করব। আসরজুড়ে সমর্থন করে আসার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আপনাদের প্রতি আমরা অনেক কৃতজ্ঞ। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *