দেশজুড়ে

‘হিট অ্যালার্টে’ স্কুল-কলেজ বন্ধ, চলছে কোচিং সেন্টার

সারা দেশে ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি হওয়ায় স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এক প্রকার দাপটের সঙ্গেই চলছে কোচিং সেন্টার। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।

প্রতিদিনই নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় কোচিং সেন্টার খোলা রাখার চিত্র চোখে পড়ে। দেখা গেছে কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে বসে। অনেকের শরীর থেকে ঝরে ঘাম।

অনেক অভিভাবক বলছেন, এই প্রচণ্ড গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখলে ভালো হতো। কোচিং সেন্টার খোলা থাকায় শিক্ষার্থীরা ঘরে না থেকে কোচিং সেন্টারে ছুটছে।

৮ নম্বর ওয়ার্ডে কোচিং সেন্টারে পড়তে আসা অনেক শিক্ষার্থী বলছেন, গরমে বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছা করে না। এরপরেও মেধার বিকাশ করতে কোচিং যেতে হচ্ছে। এমনিতেই প্রচণ্ড গরম, এরপর কোচিং সেন্টারে গাদাগাদি করে বসলে সারা শরীর থেকে ঘাম ঝরে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখলে খুব ভালো হতো।

আবার কেউ কেউ বলছেন, স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে পড়ে অনেক কিছুই বুঝতে পারছি না। কোচিংয়ের কারণে পড়াশোনা অনেকটা এগিয়ে গেছে। স্কুল কলেজ খোলার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা। কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা না করলে পরীক্ষায় লিখতে পারবো না।

গরমে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকলেও কোচিং সেন্টার কেন খোলা রেখেছেন জানতে চাইলে সৈয়দপুর শহরের ডাক বাংলা সংলগ্ন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক জাবেদ আকতারি জানান, সৈয়দপুরের অনেকেই তো কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন। গরমে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে তা জানা ছিল না। তাছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ এলে আমি ও বন্ধ রাখবো। তবে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার সঙ্গে সঙ্গে যদি কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকে, তাহলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, যারা সরকারের নির্দেশ অমান্য করে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন তারা নীতিবহির্ভূত কাজ করছেন। সরকারের নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রচণ্ড গরমের দিনগুলোতে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার দাবি জানান তিনি। এরপরেও যদি কেউ কোচিং সেন্টার খোলা রাখেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *