১০ কোটি টাকার ফল নিলামে বেচতে তৎপর কাস্টমস
দেশের মূল্যবান ডলার খরচ করে বন্দরে আনা প্রায় ১০ কোটি টাকার ফল খালাস নেননি আমদানিকারকরা। এতে একদিকে বন্দরের রেফার কনটেইনারের জায়গা অনুৎপাদনশীল হয়ে পড়েছে, বিদ্যুৎ বিল জমছে, আটকে আছে শিপিং এজেন্টের কনটেইনার।
বাধ্য হয়ে এসব ফল নিলামে বেচতে তৎপর হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
সোমবার (৮ জুলাই) কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার হলরুমে শুরু হয়েছে ফল নিলামের কার্যক্রম।
এর মধ্যে রয়েছে আপেল, কমলা, মেন্ডারিন (লেবুর মতো ছোট আকারের কমলা) ও খেজুর। নিলাম সফল করতে ব্যাপক মাইকিং করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত নিলাম চলছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মুশফিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নিলাম হচ্ছে কাস্টমসের রুটিন কাজ। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে আমদানি করা ফল যত দ্রুত সম্ভব নিলামে বেচতে পারলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা কম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। যদি এসব ফল কনটেইনারেই পচে যায় তাহলে পুরোটাই শেষ। এর সঙ্গে বন্দর ও শিপিং এজেন্টের স্বার্থও জড়িত। কাস্টম হাউসের কমিশনারের নির্দেশে পচনশীল পণ্যের নিলাম কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে তিন দিনের এ নিলাম কর্মসূচি। পর্যায়ক্রমে আরও নিলাম করা হবে।
ফলমণ্ডির একজন ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শুনেছি কাস্টম হাউসে ফলের চালান নিলাম হচ্ছে। নানা কারণে পণ্যচালান নিলামে চলে যায়। এর মধ্যে অনিয়মিত বা মৌসুমি ফল আমদানিকারকের চালান যেমন বেশি থাকে তেমনি আমদানি মূল্যের চেয়ে দেশে যদি ফলের দাম কমে যায় তাহলেও অনেকে চালান ডেলিভারি নেন না। উচ্চশুল্কে কারণেও অনেক সময় জটিলতা হয়।
তিনি জানান, আম, কাঁঠাল, আনারস, পেয়ারা, কলা, লিচুসহ মধুমাসের কারণে বিদেশি ফলের চাহিদা কমে গেছে। এ কারণেও অনেকে ফলের চালান খালাস না করে থাকতে পারে।
সূত্র জানায়, পণ্যের চালান জাহাজ থেকে বন্দরে নামার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শুল্ককর পরিশোধ করে খালাস করতে হয়। এরপর নোটিশ দেওয়া হয় কাস্টমস থেকে। সব মিলে দেড় মাসের মতো সময় পায় আমদানিকারক। এরপর নিলামে যেতে পারে কাস্টমস।