চট্টগ্রাম

১০ দাবিতে সকাল থেকে অটোচালকদের ধর্মঘট, দুপুরে প্রত্যাহার

ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অবৈধ অটোরিকশা বন্ধ, মালিকের দৈনিক ভাড়া কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম নগরে ধর্মঘট পালন করেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক সমিতি। সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে নগরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল শেষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করেন তারা। তবে দুপুর ২টার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে গাড়ি চালানোর কথা জানান চালকরা।

অটোরিকশাচালক মো. সাইফুল মিয়া সিভয়েস২৪’কে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে সিএনজি মালিকরা আমাদের ওপর দৈনিক ভাড়া নিয়ে জুলুম করে যাচ্ছে। ইনকাম না হলেও ১০০০ করে দৈনিক মালিককে দিতে হয়। এছাড়া জোরপূর্বক ৫০ টাকা বাড়তি না দিলে পরের দিন চাবি না দেওয়ান হুমকি শুনতে হয়।’

পাহাড়তলী সিএনজি আটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এরফান চৌধুরী বলেন, ‘সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাথে কথা হয়েছে। তারা দাবি বাস্তবায়নের ব্যাপারে কিছুদিন সময় চেয়েছে। যদি এর মধ্য আমাদের দাবিগুলো পূরণ না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলেনে যেতে বাধ্য হব।’

দাবিগুলো হল— রাস্তায় ডকুমেন্ট ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভারের গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে। মেট্রোর ভেতরে অবৈধ গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে । বিনা অপরাধে ড্রাইভারকে মামলা দেওয়া বন্ধ করতে হবে, এবং ড্রাইভারদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সর্বোচ্চ মামলার খরচ ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করতে হবে। ব্যাটারিচালিত রিকশা মেইন রোডে চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। মালিকদের সর্বোচ্চ ইনকাম (দৈনিক ভাড়া) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। সিএনজি রাখার জন্য নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সহজ শর্তে ড্রাইভারদের লাইসেন্স দিতে হবে। অটো টেম্পোর সর্বোচ্চ ইনকাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা করতে হবে।

এদিকে হঠাৎ করে সিএনজিচালকদের ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েন অফিসগামী কর্মজীবী ও সাধারণ বাসিন্দারা। নগরের আগ্রাবাদ এলাকার পথচারী সুমন চোধুরী বলেন, ‘আগ্রাবাদ মোড়ে সিএনজি চালকদের আন্দোলন করতে দেখেছি। ওই সময় তারা অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি গাড়ি কিছুই যেতে দিচ্ছে না। ট্রাফিক পুলিশের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *