১০ মাসেও শনাক্ত হয়নি ডা. কাজেম আলীর হত্যাকারী
১০ মাসেও শনাক্ত হয়নি ডা. কাজেম আলীর হত্যাকারী। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তাই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন হয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।
মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ডা. কাজের আলী হত্যার ১০ মাস পেরিয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত খুনিদের চিহ্নিত করা যায়নি। রাজশাহী নগরীতে ৫ শতাধিক সিসি ক্যামেরা থাকলেও ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি পর্যন্ত জব্দ করতে পারেনি পুলিশ।
এ সময় ডা. কাজেম আলীর সন্তান আবরার ফারহান আহমেদ সাদ বলেন, বাবাকে হত্যার পর এখন পর্যন্ত তাদের পরিবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেননি। ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে নগরীর লক্ষ্মীপুরে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখে বাড়ি ফেরার পথে কলাবাগান এলাকায় একটি মাইক্রোতে করে এসে দুষ্কৃতকারীরা নৃসংশভাবে তার বাবাকে হত্যা করে। অথচ তার বাবা ডা. কাজেম আলী রাজশাহীর একজন স্বনামধন্য চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। এ ঘটনায় মামলা হলেও প্রায় ১০ মাস পেরিয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকেই চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।
তাই ডা. কাজেম আলী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় কর্মসূচি থেকে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বিএমএর সাবেক সভাপতি ডা. ওয়াসিম হোসেন, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম রাজশাহীর সভাপতি ডা. কাজী মহিউদ্দীন আহমেদ, চিকিৎসক নেতা ডা. মনোয়ার তারিক সাবু ও ডা. মোরশেদ জামান মিঞা।