১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি
ঘুষ ছাড়া ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে চাকরি পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার ২৮ জন নারী ও পুরুষ। অন্যদিকে সিলেটেও একই পক্রিয়ায় পুলিশে চাকরি পেয়েছে ৮৬ জন তরুণ-তরুণী।
শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে এই দুই নগরীতে জেলা পুলিশের আয়োজনে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এসময় চাকরি পাওয়া সকলকে পুলিশ সদস্য হিসেবে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় জেলা পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম-সেবা) বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া যখন শুরু করেছিলাম, তখনই বলেছিলাম চুয়াডাঙ্গার সবাই যেন নিরপেক্ষভাবে এতে অংশ নিতে পারে। মেধাভিত্তিক, যোগ্য প্রার্থীরা যেন একদম বিনা পয়সায় চাকরি পায় সেই চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত শতভাগ ন্যায়, নীতি ও নিষ্ঠার সঙ্গে এ প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করেছি। কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি, এটা আমি দৃঢ়চিত্তে বলতে পারি।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত সকলের একমাত্র পূর্বশর্ত ছিল মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে। তাদের অন্য কোনো পরিচয়, সামাজিক বা অর্থনৈতিক অবস্থান ভূমিকা পালন করেনি। সরকার কতৃর্ক নির্ধারিত ১২০ টাকাই তাদের সরকারি খরচ ছিল।
আরও জানা যায়, এবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে সাধারণ কোটায় ১৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫ জন এবং পুলিশ পোষ্য কোটায় ২ জন বাংলাদেশ পুলিশের রিক্রুটিং পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন।
একইভাবে সিলেটেও ‘সেবার ব্রতে চাকরি’ স্লোগানকে সামনে রেখে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষা শেষ হয়। অতঃপর ১৩ তরুণী এবং ৭৩ জন তরুণ কনস্টেবল প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। ফলাফল ঘোষণা করেন সিলেট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।