১২ বছরের নাবালিকার সঙ্গে ৭২ বছরের বৃদ্ধের বিয়ে, অতঃপর…
কথায় বলে বুড়ো বয়সে ভিমরতি! আর তাই পাকিস্তানের চরসাদ্দা শহরে ১২ বছর বয়সি এক মেয়েকে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন বছর বাহাত্তরের এক বৃদ্ধ। সেই বিয়ের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে পুলিশ।
মেয়েটির বাবা তাকে বৃদ্ধ ব্যক্তির কাছে ১৭৯৯ ডলারে বিক্রি করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের ঠিক আগমুহূর্তে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং ৭২ বছর বয়সি বরকে গ্রেফতার করে।
ওই বৃদ্ধের নাম হাবিব। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মেয়েটির বাবা আলম সৈয়দও। তবে তিনি পালিয়েছেন। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো রাজনপুর এবং ঠাট্টায় অল্পবয়সি মেয়েদের বয়স্ক পুরুষদের সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে করার একাধিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে। গত ৬ মে সোয়াতে ১৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে করার অভিযোগে ৭০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মেয়েটিকে তার বাবা জোর করে বিয়ে দিতে গিয়েছিল। মেয়েটিকে মেডিকেল চেকআপের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ অ্যাকশনে নেমে নাবালিকা মেয়ের বর ও বাবাকে হেফাজতে নেয়। গোটা পাকিস্তানেই বাল্যবিবাহ একটা বড় সমস্যা। অন্তত ৩০ শতাংশ মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় ১৮ বছরে না পেরুতেই। যদিও সেদেশে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৬। কিন্তু তারও আগে বিয়ে হয়ে যাওয়ার অভিযোগ অহরহ শোনা যায়। ইউনিসেফের পরিসংখ্যান বলছে, ১৮ বছরে পৌঁছানোর আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ পাকিস্তানি মেয়েদের।