২৬১ বিজিপিকে শিগগিরই মিয়ানমারে পাঠানো হবে: বিজিবি ডিজি
বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, আমাদের সদস্যরা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে আর একজনও অনুপ্রবেশ করতে পারবে না। জীবন রক্ষার্থে যে ২৬১ জন বিজিপি সদস্য এসেছেন তাদের আন্তর্জাতিক আইন মেনেই আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তাদের মিয়ানমারে পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিজি।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সকাল ১১টায় নাইক্ষ্যংছড়িতে পৌঁছান। তিনি প্রথমে ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দফতরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন করেন। দুপুর ২টায় মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা সেই দেশের ২৬১ জন সেনা ও বিজিপির সদস্যদের রাখা নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
এরপর তিনি ১১ বিজিবির অধিনস্থ চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শনে যান।
এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা জান্তা বাহিনীর পালিয়ে আসার স্পটগুলোর খোঁজ খবর নেন। সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন।
ডিজি বলেন, ২৬১ জনকেও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনা চলছে। আমরা আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তাদের আশ্রয় দিয়েছি। সময়মত সবাইকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এ সময় ডিজির সঙ্গে ছিলেন, বিজিবি স্থানীয় রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মোরশেদ আলম, সেক্টর কমান্ডার মেহেদী হাসান, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক সাহল আহমেদ নোবেলসহ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা।