৪ দফা দাবিতে গ্রাম পুলিশের বিক্ষোভ-সমাবেশ
বেতন বৈষম্য থেকে মুক্তি ও চাকরি জাতীয়করণ করে পুলিশ সদস্যদের ন্যায় রেশন ও পেনশন সুবিধার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে ‘বেতন বৈষম্য বিরোধী গ্রাম পুলিশ সমন্বয় কমিটি’।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করে বেতন বৈষম্যবিরোধী গ্রাম পুলিশ সমন্বয় কমিটির সদস্য ও সাধারণ গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে ১৪ আগস্ট থেকে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি শুরু করেন।
সমাবেশে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা বলেন, আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাসে সাড়ে ছয় হাজার টাকা পাই। যেখানে চালের কেজি ৬০-৭০ টাকা আমরা বছরেও ১ কেজি গরুর মাংস কিনতে পারি না, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করাতে পারি না, আমরা সব ধরনের কাজ করি আমাদের ছেলে মেয়েদের ভালো খেতে দিতে পারি না এক কেজি মাছ কিনতে পারি না। সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন আমাদের জীবন রক্ষায় এগিয়ে আসুন।
সমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী লাল মিয়া বলেন, যেহেতু আমরা সরকারের দেওয়া পোশাক পরিধান করে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা অন্যান্য বাহিনীর ন্যায় দায়িত্ব পালন করে থাকি। সেহেতু অবিলম্বে এখন থেকে ৭ দিনের মধ্যে আমাদের গ্রাম পুলিশ সদস্যদের পুলিশ কনস্টেবল সম গ্রেড এবং দফাদারদের এসআই এর সমগ্রেড নির্ধারণ, পুলিশ সদস্যদের ন্যায় রেশন পেনশন সহ সব সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের পরিচালিত করিতে হবে এবং ২০০৮, ২০০৯, ২০১০ সালের প্রজ্ঞাপন ও ২০১১ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট অনুযায়ী ২০০৮ সাল থেকে সমস্ত বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী লাল মিয়া গ্রাম পুলিশবাহিনীর পক্ষে ৪ দফা তুলে ধরেন। দফাগুলো হলো-
১) অন্যান্য বাহিনীর ন্যায় বিশেষভাবে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ন্যায় গ্রাম পুলিশ সদস্যদের জাতীয় বেতন স্কেল গ্রেড নির্ধারণ এবং পুলিশ এসআইয়ের ন্যায় দফাদারদের জাতীয় বেতন স্কেল গ্রেড নির্ধারণ করতে হবে।
২) পুলিশ সদস্যদের ন্যায় রেশন পেনশনসহ সব সুযোগ সুবিধা নির্ধারণ করতে হবে।
৩) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের পরিচালনা করতে হবে।
৪) ২০০৮-২০১০ সালের প্রজ্ঞাপন ও ২০১১ সালের জাতীয় বেতন স্কেল গেজেট অনুযায়ী ২০০৮ সাল থেকে সমস্ত বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে।