দেশজুড়েধর্ম

৪ মাসে হাতে কোরআন লিখলেন ১৯ বছরের সেলিম

হাতে পবিত্র কোরআন লিখেছেন ১৯ বছর বয়সী তরুণ সেলিম উদ্দিন রেজা। টানা চার মাসের প্রচেষ্টায় তিনি কোরআন শরিফের ৩০ পারাই হাতে লিখেছেন।

কয়েকটি কপি করে বাঁধাই করে রেখেছেন মাদরাসাশিক্ষার্থীদের জন্য ৷

জানা গেছে, মসজিদের ভেতরে বসেই ৪ মাস ধরে পবিত্র কোরআন লিখেছেন সেলিম ৷

সেলিম নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রমত্তর গ্রামের ইমান আলীর ছেলে। দারউলুম মাদরাসার ছাত্র তিনি। বর্তমানে দক্ষিণ অসুরখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জামে মসজিদে খাদেম হিসাবে কর্মরত৷

অসহায় গরিব পরিবারের সন্তান সেলিম। তিন ভাইয়ের মধ্যে তার অন্য দুই ভাই দিনমজুরের কাজ করেন ৷

হাতে কোরআন লেখার ইচ্ছা কেন হলো প্রশ্নে সেলিম জানান, ছোটবেলায় তার হাতের লেখা একেবারেই ভালো ছিল না। এজন্য তাকে মাদরাসার হুজুরেরা অনেক সময় বকেছেন তাকে। মায়ের হাতে পিটুনিও খেতে হয়েছে তাকে। এক সময় হুট করেই সিদ্ধান্ত নেন পবিত্র কোরআন হাতে লিখবেন। শুরুও করে দেন লেখা। মাত্র চার মাসের চেষ্টায় পুরো পবিত্র কোরআন হাতে লিখে শেষ করেন।

লেখা শেষ করে তার মাদরাসাসহ পরিচিত হুজুরদের কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে, তারা প্রথমে বিশ্বাস করেননি যে সত্যি সত্যি পুরো পবিত্র কোরআন হাতে লিখেছেন এবং তা পড়া যাবে। সেলিম তাদের তখন বাসায় এসে দেখে যেতে বলেন। বাসায় এসে তারা তা দেখে জানান, একেবারে হুবহু হয়েছে। সেলিমের হাতে লেখা কোরআন পড়া যাচ্ছে।

পবিত্র কোরআন (৩০ পারা) হাতে লিখতে পাড়াকে জীবনের সেরা অর্জন হিসেবে মনে করেন সেলিম। এই মহান কাজটি করতে পেরে তিনি আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করেছেন।

সেলিম বললেন, আমি পবিত্র কোরআন হাতে লিখেছি নিজের ভালো লাগা থেকে। এই কোরআনের কপি আমি কখনোই বিক্রি করব না। আমি ভাইরাল হওয়ার জন্য হাতে পবিত্র কোরআন লিখিনি। তবে এখন ভাবি, আমার এ কাজ দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতেও পারেন। আর হাতে লেখা কোরআনটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিতে চাই, যাতে আমি যখন থাকব

না তখনো আমার এ কাজ মানুষের কাছে সংরক্ষিত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *